দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯,০৭০ জন, কেরলকে ঘিরে উদ্বেগ চড়ছে

দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯,০৭০ জন, কেরলকে ঘিরে উদ্বেগ চড়ছে

ব্যুরো রিপোর্ট:  কেরলকে ঘিরে ক্রমেই দেশের করোনা মহামারীর প্রবল দানবীয় হানার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে, ডেল্টা স্ট্রেনের আতঙ্কের মাঝেই কর্ণাটকে নতুন ‘এটা’ স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯,০৭০ জন হয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩,১০৯৯,৭৭১ জন।

এদিকে, করোনা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেরলকে ঘিরে। দেখা যাচ্ছে করোনার জেরে দেশের দুটি রাজ্য সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে । দেশরে ৬১ শতাংশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উঠে আসছে মহারাষ্ট্র ও কেরলকে ঘিরে।

এদিকে, শনিবারের তুলনায় দেখা গেলে কোরনা গ্রাফে ধরা পড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে গতকালের তুলনায় আজ এগিয়ে রয়েছে গ্রাফ। এদিকে, গতকাল দেখা গিয়েছে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮,৬২৮ জন।

গতপরশুর চেয়ে অনেকটাই কমেছে দৈনিক সংক্রমণ।এরপর আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক যে রিপোর্ট পেশ করেছে , তাতে দেখা গিয়েছে করোনার জেরে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯,০৭০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৩৯১০ জন।

মোট আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দেখা যাচ্ছে, ৩,১৯, ৩৪,৪৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন দেশে। অ্যাক্চিভ রোগীর সংখ্যা দেশে ৪০৬৮২২ জন। দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩১০৯৯৭৭১ জন। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে ,

আগামী দিনে কি ভারতে তৃতীয় স্রোত আসবে কেরলের হাত ধরেই? প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতে করোনার প্রথম স্রোতে কেরলের বাড়বাড়ন্ত করোনা ঘিরে প্রবল কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয় । এরপর দ্বিতীয় স্রোতের সময় দেখা গিয়েছে দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায় প্রবল করোনা র দানবীয় হানা।

এরপর আপাতত দক্ষিণ ভারতে কেরল, কর্ণাটক ও পশ্চিমে মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে করোনার দানবীয় আস্ফালন শুরু হয়েছে। যা রীতিমতো উদ্বেগে রাখছে দেশকে।

প্রসঙ্গত, করোনার জেরে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত গতকালের তুলনায় সামান্য বাড়লেও, গত পরশুর তুলনায় তা কম। গত পরশু করোনার জেরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজারের ঘরে। এরপর গতকাল তা সামান্য নামে।

এরপর আজ ফের ৪০ হাজারের নিচে রয়েছে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৪৯১ জনের। এদিকে, গতকাল অর্খাৎ ৭ অগাস্টের রিপোর্ট বলছে ২৪ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৬১৭ জন।

এদিকে, আগে যে ৬ রাজ্য নিয়ে করোনার আশঙ্কা ছিল, বর্তমানে তা ১০ রাজ্য নিয়ে হতে শুরু করেছে। করোনার আর ভ্যালু বা ছড়িয়ে পড়ার গড় মানদণ্ড হু হু করে বাড়ছে। দেশের ৮ রাজ্য নিয়ে আর ভ্যালুকে কেন্দ্র করে প্রবল ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সতর্কতার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রও। এদিকে সামনেই উৎসবের মরশুম। এমন অবস্থায় কেন্দ্রের তরফে প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

৭ অগাস্টের করোনা রিপোর্টের সঙ্গে যদি ৮ অগাস্টের করোনা রিপোর্টের তুলনা করা যায়, তাহলে দেখা যাবে, ৭ অগাস্টের রিপোর্টে ছিল ২৪ ঘণ্টায় দেশে কমল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। একদিনে দেশেআক্রান্ত হয়েছেন ৩৮,৬২৮ জন।

তারও আগে ৬ অগাস্টের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৬৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪,৬৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪১ ০৯৬ জন। এদিকে, এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়ার দাবি যদি করোনার প্রবল দংশন ঠেকাতে হয় দেশে তাহলে অবশ্যই টিকাকরণ প্রয়োজন।

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, দেশে করোনার জের রপখতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫৫,৯১,৬৫৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এপর্যন্ত দেশে করোনার টিকা পেয়েছেন ৫০,৬৮,১০, ৪৯২ জন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *