শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০,৯৪৮ জন, একনজরে পরিসংখ্য়ান

শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০,৯৪৮ জন, একনজরে পরিসংখ্য়ান

ব্যুরো রিপোর্ট:  করোনার জেরে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আক্রান্ত ৩০, ৯৪৮ জন। প্রসঙ্গত, ডেল্টা স্ট্রেইনের প্রবল দাপচের মধ্যে দেশে করোনার তৃতীয় স্রোত নিয়ে রয়েছে পর্বল আতঙ্ক।

এই স্রোত আগাস্টের শেষ থেকেই ভারতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে বহু আগেই জানিয়েছে বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্ট। এই অবস্থায় গত কয়েকদিনে যেভাবে ওঠানামা করছে করোনার গ্রাফ তাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও, সামনে উৎসবের মরশুম ঘিরে উদ্বেগ রয়ে গিয়েছে।

করোনার জেরে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ জনের থেকে নেমেছে মৃতের সংখ্যা। দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৩,২৪,২৪,২৩৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন, ৩,১৬,৩৬,৪৬৯ জন। করোনার জেরে অ্যাক্টিভ কেস দেশে ৩৫৩৩৯৮ জন।

মোট মৃতের সংখ্য়া, ৪৩৪৩৬৭ জন। এদিকে, ডেল্টা স্ট্রেইনের প্রবল দাপাদাপির মধ্যেই বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে এমন ডেল্টা স্ট্রেইন বিভিন্ন সময়ে করোনা ভ্যাকসিনের দাপটকেও ভেদ করে বেরিয়ে যায়।

ফলে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের আপাতত প্রবল সচেতন না থাকলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে। এদিকে, কেরল বারবার মাথা ব্যাথা হয়ে উঠে করোনার আবহে। ইতিমধ্যেই ওনমের উৎসবে মাতোয়ারা কেরল।

তবে তারই মাঝে সেখানে হু হু করে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। তুলনায় বাড়ছে করোনা টেস্টিংও । ফলে সমস্ত দিক থেকেই সতর্ক থেকে করোনাক দাপটকে কাটানোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

গতকালের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ২১ অগাস্টের শেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪,৪৫৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছেন ৩৭৫ জন। অনেকটাই কমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমেছে অ্যাক্টিভ রোগীর সঙ্গে। গতকাল কার্যত রেকর্ড গড়ে ১৫১ দিনে সর্বনিম্ন ছিল অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা।

এদিকে, শনিবারের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে কেরলে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৭,১০৬ জন করোনায় আক্রান্ত। টিপিআর পরিসংখ্যান ১৭.৭৩ তে। এদিকে, কেরলের এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে টানা ২০ হাজারের ঘরে আক্রান্তের সংখ্যা যেতে দেখা গিয়েছে।

ফলে দেশের মোট পরিসংখ্যানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার প্রায় সিংহভাগই করোনা আক্রান্ত কেরল থেকে এসেছে বলে দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তামিলনাড়ুতে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে করোনার লককাউন।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫৭৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৪৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে সেরাজ্যে মারা গিয়েছেন। এদিকে মহারাষ্ট্র সরকারের দাবি তারা করোনার নিরাময়ে টিকাকরণে নতুন রেকর্ড দখল করেছেন। একদিনে সেখানে ১০ লাখের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে করোনার জেরে যদি গত কয়েকদিনের রেকর্ড দেখা যায়, তাহলে লক্ষ্য করা যাবে যে, করোনার জেরে গতকালের তুলনায় এদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪,৫৪৭ জন। তবে গতকালের তুলনায় দেশে এদিন করোনার দৈনিক মৃতের সংখ্যা খানিকটা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এদিনের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে,

করোনার জেরে ৪০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে গতকালের রিপোর্ট বলছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৩৭৫ জন। ফলে মৃতের সংখ্য়ার হার রীতিমতো ভয় দেখাচ্ছে। সামনেই দুর্গাপুজোর মরশুম ,

তবে তার আগে সেপ্টেম্বর থেকে দেশে শিশুদের ভ্যাকসিনের প্রক্রিয়া চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ১২ বছরের উর্ধ্বে শিশুদের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যাবে। করোনার তৃতীয় স্রোতের আশঙ্কার মাঝে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি বলে জানিয়েছিলেন গবেষকরা।

সেই জায়গা থেকে ১২ বছরের উর্ধ্বে বালক বালিকারা করোনা ভ্যাকসিন পেলেও তার নিচের বয়সীদের ঘিরেই চড়ছে উদ্বেগের পারদ। প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুতে হু হু করে যেভাবে শিশুরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছ

,তাতে ৯ বছরের আশপাশের বয়সে করোনা বিপদ থেকে যাচ্ছে বলে একটি ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতেই মোদী সরকার তড়িঘড়ি এই জাইডাসের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *