ব্যুরো রিপোর্ট: উপকূলে থাকা নিম্নচাপ আপাতত শক্তিহীন পড়েছে। সকাল থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি তেমন হয়নি।
তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সপ্তাহের শেষের দিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। যার জেরে ফের একবার পশ্চিমবঙ্গে এবং ওড়িশা উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস এই মুহূর্তে নেই। তবে সব জেলাতেই কোনও না কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী কয়েকদিন দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আপাতত দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টিও হতে পারে।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩০ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এবং সংলগ্ন এলাকায় থাকা নিম্নচাপ পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এই মুহূর্তে তা স্থলভাগের ওপরে রয়েছে। আস্তে আস্তে সমুদ্রও শান্ত হয়ে আসছে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীরা যেন সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান।আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা। তারপর তা থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর নাগাদ নিম্নচাপ। যার প্রভাবে ১৯ সেপ্টেম্বর রবিবার এবং ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা যেমন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা,
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপও উত্তর ওড়িশার ওপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে এখনও দীর্ঘ সময় বাকি রয়েছে। তাই আবহাওয়া দফতর এব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৪.৮)
বালুরঘাট (২৭.৬)
বাঁকুড়া (২৪.৯)
ব্যারাকপুর (২৫.৮)
বহরমপুর (২৪.৬)
বর্ধমান (২৪.৬)
ক্যানিং (২৪.৬)
কোচবিহার (২৬.১)
দার্জিলিং (১৬.২)
দিঘা (২৫.২)
কলকাতা (২৬.১)
মালদহ (২৮.৩)
পানাগড় (২৫.৬)
পুরুলিয়া (২৪.৫)
শিলিগুড়ি (২৫.৫)
শ্রীনিকেতন (২৪.৮)
মৌসুমী অক্ষরেখা এখনও তার নির্দিষ্ট অবস্থানের দক্ষিণেই রয়েছে। আগামী দিন চারেক সেই অবস্থানেই থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস। এই মূহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেথা নালিয়া, গুজরাতের ওপরে থাকা নিম্নচাপ এলাকার মধ্যে দিয়ে হোসেঙ্গাবাদ,
পেন্ড্রা রোড, উত্তর ওড়িশার ওপরে থাকা নিম্নচাপ এলাকার মধ্যে দিয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর ওড়িশা এবং উত্তর ছত্তিশগড়ের ওপর দিয়ে অগ্রসর হয়।
এরপত তা আস্তে আস্তে শক্তি হারাচ্ছে। পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের ওপরে রয়েছে সেটি। অন্য একটি নিম্নচাপগুজরাত এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে রয়েছে। সেটিও শক্তি হারানোর পথে।
এদিন থেকে ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ে বৃষ্টি কমতে থাকবে। তবে আগামী ২-৩ দিন বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে কোঙ্কন, দক্ষিণ মধ্য মহারাষ্ট্র, গুজরাত, পূর্ব রাজস্থান, মধ্য প্রদেশে। গুজরাত ও পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে ১৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।আগামী দিন পাঁচেক বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হবে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে।
আগামী দুদিন বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে উপকূল এবং দক্ষিণ কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কাড়াইকাল এবং কেরলে।১৬ সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর পশ্চিম ভারতের সমতল বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। হরিয়ানা, রাজস্থান এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা।