ভারতে করোনা পরিস্থিতি ‘এন্ডেমিসিটি’র পথে! হু-এর বিজ্ঞানীর চাঞ্চল্যকর দাবি

ভারতে করোনা পরিস্থিতি ‘এন্ডেমিসিটি’র পথে! হু-এর বিজ্ঞানীর চাঞ্চল্যকর দাবি

ব্যুরো রিপোর্ট:  দ্বিতীয় স্রোত পার করে কার্যত করোনা নিয়ে তৃতীয় স্রোতের প্রহর গুনছে দেশ। ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় স্রোতের আশঙ্কা শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৃতীয় স্রোত নিয়ে নানান গবেষণা উঠে আসছে। তারই মধ্যে হু এর তরফে সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন যে,

ভারত এবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি এন্ডেমিসিটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে এমন একটি স্তরের দিকে ভারতের করোনা পরিস্থিতি যাচ্ছে যা স্থানীয়করণের সামিল। শুধু তাই নয়, করোনা ছড়িয়ে পড়ার স্তরটিও আপাতত ভারতে মধ্যম থেকে নিম্নগামী।

এন্ডেমিক বলতে বোঝায়, যখন একটি নির্দিষ্ট এলাকার কিছু মানুষ একটি ভাইরাসের সঙ্গে থেকে যাওয়ার অভ্যাস। এই অভ্য়াস রপ্ত করার প্রক্রিয়া একটি বড় দিক।

আর তার জন্যই করোনা যে স্তরে এই মুহূর্তে ভারতে রয়েছে যা অতিমারীর ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। অতিমারী থেকে ‘এন্ডেমিক’ একটি অন্য ধরনের বিষয়। এই পরিস্থিতিতে সৌম্য স্বামীনাথনের বিশ্বাস যে হু এবার কোভ্যাক্সিনের মতো টিকাকাকে মান্যতা দিলে ,

তা কার্যকরী দিকে যেতে পারে। এদিকে ভারতে করোনা পরিস্থিতি আগামী দিনে কোন পথে যেতে পারে? তার উত্তরে এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক করণ থাপারকে হু এর বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন যে,

আপাতত যা করোনা পরিস্থিতি রয়েছে সেইটি নিয়েই আগামী দিনে হয়তো ভারতকে চলতে হতে পারে। তবে তার মধ্যে কিছু উত্থান পতন থেকে যেতে পারে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন যে ভারতে স্থানিকতার ভিত্তিতে করোনা পরিস্থিতি নির্ভর করে রয়েছে। একটি এলাকার বাসিন্দারা কততা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আয়ত্ত করেছেন, তার ওপর সেখানে করোনা ছড়িয়ে পড়া নির্ভর করে রয়েছে।

আগামী কয়েক মাসেও এমন পরিস্থিতির মধ্যেই থেকে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন হু এর বিশেষজ্ঞ। তবে স্বাভাবিক জীবনের পথে কী দেশগুলি আর ফিরতে পারবে না ? এই প্রশ্নের উত্তরে হু এর বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন যে,

২০২২ সালের শেষের দিকে একটা বড় অংশের মানুষের ভ্যাকসিনেশন শেষ হবে। ফলে ৭০ শতাংশের ভ্যাকসিনেশন শেষ হলে একটি স্বাভাবাবিকতার দিকে যেতে পারে বিশ্ব। আর তার ফলেই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরলেও ফিরতে পারে।

এদিকে, করোনার তৃতীয় স্রোতের আশঙ্কায় শিশুদের ঘিরে উদ্বেগে গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতে হু এর বিশেষজ্ঞের সাফ বার্তা , করোনার জেরে বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে যে শিশুরা আক্রান্ত হলেও, তার প্রবলভাবে আক্রান্ত হয়নি।

তিনি বলছেন , হাজার হাজার শিশু হুঠ করে করোনার জেরে আইসিইউতে ভর্তি হবে, এমন চিত্র আসবে না। কারণ দেছখা যাচ্ছে , করোনার প্রভাব যেভাবে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে পড়ছে ততটা প্রভাবিত হচ্ছে না শিশুরা। তবে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি থাকাটা বুদ্ধিমত্তার কাজ বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *