ব্যুরো রিপোর্ট: আর যুদ্ধ নয় , এবার শান্তি আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে তালিবানদের কাছে পঞ্জশিরের আফগান ফাইটারদের মুখপত্র। শান্তিরদূতকে হত্যা করে নিজেদের নৃশংসতার পরিচয় দিল তালিবানরা। পঞ্জশির দখলে মরিয়া তালিবানরা।
গোটা আফগানিস্তান নিজেেদর দখলে আনতে পারলেও পঞ্জশির এখনও পুরোটা দখল করে উঠতে পারেনি। নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের প্রবল প্রতিরোধের মুখে বারবার পিছু হঠতে হয়েছে তাঁদের।ফের উত্তাপ বাড়ছে আফগানিস্তানে।
গত শনিবার পঞ্জশির দখলে এসেছিল বলে দাবি করে তালিবানরা। তার উল্লাশে কাবুল শহরে গুলিবর্ষণ করে তারা। তাতে কমপক্ষে ১৭ জন নিরিহ নাগরিক মারা গিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন অসংখ্য।
যদিও নর্দান অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাঁরা মাথা নত করেনি। এখনও প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে তালিবানদের বিরুদ্ধে। এদিেক গোটা বিশ্বের কাছে তাবিবানরা দাবি করে তারা পঞ্জশির দখল করে ফেলেছে।
পঞ্জশির দখল তালিবানদের কাছে অনেকটা প্রেস্টিজ ফাইটে পরিণত হয়েছে।এদিকে সূত্রের খবর নর্দান অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব কয়েকদিন আগে থেকেই আসতে শুরু করেছিল। তাতে তাঁরা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন।
পঞ্জশির দখলে সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল তালিবানরা। পঞ্জশিরের আফগান ফাইটারদের সঙ্গে সমঝোতায় বসার জন্য তালিবানদের অনুরোধ জানিয়েছিলেন উলেমা কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা।
আফগান সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর উলেমারা চাইছেন পঞ্জশিরের যোদ্ধাদের সঙ্গে সমঝোতার চুক্তিতে যাক তালিবানরা।তাতে যুদ্ধের রক্তক্ষয় বন্ধ হবে। কিছুটা হলেও শান্তি ফিরবে সেখানে।পঞ্জশিরের আফগান ফাইটারদের নেতা আহমেদ মাসুদ জানিয়েছেন তিনি তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি।
নর্দান অ্যালায়েন্স নিজের ফেসবুক পেজে এই প্রস্তাব দিয়েছিল। এদিকে পঞ্জশিরে আফগান ফাইটারদের মুখ পত্রকে তালিবানরা হত্যা করায় ফের সেই শান্তি আলোচনার পরিস্থিতি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিেক গত কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনও তালিবানরা আফগানিস্তানে সরকার গঠন করে উঠতে পারেনি। কাবুলে প্রতিনিয়ন নারী নির্যাতনের ছবি ধরা পড়ছে।
গতকালও কাবুলে আফগাননারীদের মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা দেশে।এদিকে পঞ্জশির দখলে মরিয়া তালিবানরা সেখানকার সব সাপ্লাই চেন বন্ধ করে দিয়েছে।
যুদ্ধে কাবু করতে না পেরে পঞ্জশিরকে ভাতে মারতে উদ্যোত হয়েছে তারা। এদিকে নর্দান অ্যালায়েন্সও কোনও ভাবে হাল ছাড়তে নারাজ। মুখপত্রকে হত্যা করার পর আফগান ফাইটাররা কী পদক্ষেপ করে সেটাই এখন দেখার।
যদিও তালিবানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পাক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা। তাতে বেশ শঙ্কিত ভারত। পাকিস্তান ফের ভারতে নাশকতা চালানোয় তৎপর হয়ে উঠবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।