ব্যুরো রিপোর্ট: শনিবার সকাল থেকে ভ্যাপসা গরম। তবে আকাশে সূর্যের তেজ নেই। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন বিকেলের মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে আবহাওয়া বদলাতে শুরু করবে।
যার জেরে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। তবে অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির জেরে বেশ কয়েকটি জেলায় জল জমার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
শনিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে সব জেলারই কোনও না কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ৪৮ ঘন্টায় দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও, তারপরে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে।
এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর সকালের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর সকালের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং হাওড়া জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর সকালের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী দিনের তাপমাত্রার সেরকম বড় কোনও পরিবর্তন না হলেও, তারপরে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।শনিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,
আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৩ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।মৎস্যজীবীদের প্রতি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে,
মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনায় পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় তা আরও ঘনীভূত হবে। যার জেরে ১২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে মধ্য বঙ্গোপসাগরে হাওড়ার বেগ ঘন্টায় ৪৫ কিমি পেরিয়ে যেতে পারে। সেই কারণে মৎস্যজীবীদের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি যাঁরা ইতিমধ্যেই সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদেরকে ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।আবহাওয়া দফতর থেকে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন সময়ে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নচাপ জমিত বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পুরসভা এলাকাগুলির যেসব জায়গা নিচু, সেইসব জায়গায় জল জমতে পারে। এছাড়াও জমিতে যেসব ফসল রয়েছে, তারও ক্ষতি হতে পারে। তবে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (৫.৩)
বালুরঘাট (২৬.৬)
বাঁকুড়া (২৫.১)
ব্যারাকপুর (২৬)
বহরমপুর (২৫.৬)
বর্ধমান (২৪.৬)
ক্যানিং (২৬.২)
কোচবিহার (২৫.৭)
দার্জিলিং (১৫.৫)
দিঘা (২৪.৫)
কলকাতা (২৬)
মালদহ (২৭.৬)
পানাগড়
পুরুলিয়া (২৫.১)
শিলিগুড়ি (২৪.৭)
শ্রীনিকেতন (২৬.৫)
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখাটি এখনও তার স্বাভাবিক অবস্থানের দক্ষিণে অবস্থান করছে। যা আগামী ২ দিন সেই অবস্থানে থাকতে পারে।
মৌসুমী অক্ষরেখাটি জয়সলমির, পূর্ব রাজস্থানে থাকা নিম্নচাপ এলাকার মধ্যে দিয়ে টিকামগড়, পেন্ডা রোড, পুরি হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।