নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

ব্যুরো রিপোর্ট:  নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে-তে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালের। এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপনকে ঘিরে এবার বিতর্কে জড়ালেন তিনি।

জাতীয় কংগ্রেসের তরফেও নেতাজির মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এই বিষয়কে নিয়ে ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বুধবার নেটমাধ্যমে লেখেন, ‘আজাদ হিন্দের প্রতিষ্ঠাতা, ভারতের স্বাধীনতা লড়াইয়ের যোদ্ধা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে!

দেশের জন্য তিনি যে লড়াই লড়েছেন, যে ত্যাগ করেছেন, তা যুবসম্প্রদায়ের কাছে অনুপ্রেরণা। জয় হিন্দ।’ অবশ্য শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের কিছুক্ষণ পর নেটমাধ্যম থেকে তা সরিয়ে নেন তিনি।

জাতীয় কংগ্রেসের তরফেও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে লেখা হয়, ‘আজাদ হিন্দ ফৌজই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মোড় ঘুরিয়েছিল। জাতীয়তাবাদের ধারণায় বিশ্বাসী,

নেতাজির নেতৃত্বে  ভারত মাতার সাহসী সন্তানরা দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করে লড়াই করছিলেন। ভারত মাতার প্রিয় পুত্র  নেতাজির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে কংগ্রেস পরিবার।’

এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়। এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ নেটমাধ্যমে লেখেন, এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নেতাজির মৃত্যু নিয়ে কোনও প্রমাণ নেই। কংগ্রেস সরকার এবং বিজেপি সরকার এই বিষয় নিয়ে কোনও অনুসন্ধান চালায়নি। ভারত ও বাংলার আবেগের সঙ্গে খেলবেন না। পাশাপাশি গোপন নথি প্রকাশ্যে আনার দাবি করেন তিনি।

তাইওয়ানের তাইপেতে ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট বিমান দূর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল কি না তা নিয়ে অনেক সময় অনেক দাবি করা হয়।

অনেকেই বলেছেন ওই বিমান দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নেতাজির, আবার অনেকে এই তথ্য মানতে নারাজ। ফলে এই বিষয়ে নিয়ে নেতাজির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও জাতীয় কংগ্রেস।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *