ব্যুরো রিপোর্ট: কোন অবস্থাতেই যাতে শত্রুপক্ষ সহজে আঘাত করতে না পারে তার জন্য এক বিশেষ এয়ারক্রাফট তৈরি করবে ডিআরডিও। আগে থেকে সতর্ক করাই হবে সেই এয়ারক্রাফটের কাজ। আর এই প্রোজেক্টের জন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন তথা ডিআরডিও র জন্য ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র।
প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। সেই এয়ারক্রাফটের জন্য এয়ার ইন্ডিয়া থেকে এয়ারবাস কেনা হয়েছে। আর তা দিয়েই ডিআরডিও ওই আর্লি ওয়ার্নিং কন্ট্রোল এয়ারক্রাফট তৈরি করবে।
পাশাপাশি আরও একটি প্রজেক্টর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। দীর্ঘদিন ধরেই c295 ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট কেনার কথা ছিল বায়ু সেনার। তবে অনেকদিন ধরেই অনুমোদন না মেলায় আটকে রয়েছে এই প্রজেক্ট।
তাতেও এবার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২২ হাজার কোটি। এর আগে অবশ্য অভ্র ৭৪৮ বিমান ব্যবহার করত ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই জায়গায় এবার এই নয়া এয়ারক্রাফট আনা হবে।
এই আর্লি ওয়ার্নিং ওয়ারক্রাফট প্রথমবার ডিআরডিও বানিয়েছে ২০১৭ সালে। ব্রাজিলের বিমান নিয়ে তৈরি করা হয় সেই এয়ারক্রাফট।
সহজেই শত্রুপক্ষের এয়ারক্রাফট বা মিসাইল চিহ্নিত করতে পারে এই এয়ারক্রাফট। আগে নেত্র নামে এ্যারলি ওয়ার্নিং এয়ারক্রাফট তৈরি করে ডিআরডিও। যার রেঞ্জ ছিল ২০০ কিলোমিটার।
নেত্র এয়ারক্রাফট সিস্টেম এই মুহূর্তে রয়েছে বায়ু সেনার কাছে। এবার তার থেকে অনেক বেশি আধুনিক এয়ারক্রাফট তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে আধিকারিকরা। এয়ার বাসের বিমানে তৈরি করা হবে সেই সিস্টেম।
শুধু নেত্র নয়, ইজরায়েলের তৈরি ফ্যালকন ওয়ার্নিং এন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। রাশিয়ার বিমানের ওপর তৈরি করা হয়েছে সেই সিস্টেম। ওই এয়ারক্রাফটের রেঞ্জ ৪০০ কিলোমিটার।
তবে আরও বেশি অত্যাধুনিক ওয়ার্নিং সিস্টেমের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন আধিকারিকরা।তাই দুই ভারতীয় সংস্থাই এয়ারক্রাফট তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে। এয়ারবাস এবং টাটা অ্যাডভান্স সিস্টেম লিমিটেড তৈরি করবে এই এয়ারক্রাফট।
প্রথম ষোলটি এয়ারক্রাফট তৈরি করে দেবে এয়ারবাস ও পরে আরও ৪০টি এয়ারক্রাফট তৈরি করবে অ্যাডভান্স সিস্টেম লিমিটেড। গত এক বছরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ২০৯টি জিনিসের আমদানি বন্ধ করেছে ভারত।তাই দুই ভারতীয় সংস্থাই এয়ারক্রাফট তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে।
এয়ারবাস এবং টাটা অ্যাডভান্স সিস্টেম লিমিটেড তৈরি করবে এই এয়ারক্রাফট। প্রথম ষোলটি এয়ারক্রাফট তৈরি করে দেবে এয়ারবাস ও পরে আরও ৪০টি এয়ারক্রাফট তৈরি করবে অ্যাডভান্স সিস্টেম লিমিটেড।
গত এক বছরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ২০৯টি জিনিসের আমদানি বন্ধ করেছে ভারত।তার মধ্যে অন্যতম এই ওয়ার্নিং সিস্টেম। এই এয়ার ওয়ার্নিং সিস্টেম ছাড়াও ক্রুজ মিসাইল, লাইট কম্বাট এয়ারক্রাফট, মিসাইল
ট্রেনার ওয়ার্ক এয়ারক্রাফট কেনাও বন্ধ করেছে ভারত। ডোমেস্টিক ডিফেন্স প্রকিউরমেন্ট অর্থাৎ দেশে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত জিনিসপত্র তৈরি করার জন্য এই বছর ৭০ হাজার কোটি বরাদ্দ করেছে ভারত। গত বছর এই বরাদ্দ ছিল ৫৮ হাজার কোটি।