রিপোর্ট -দেবাঞ্জন দাস: ‘সূত্র: পি আই বি’ ‘পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’-এর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অধীনে গঠিত নেটওয়ার্ক প্ল্যানিং গ্রুপ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্পের পরীক্ষা ও সুপারিশ করেছে ৩ আগস্ট, ২০২২।
এগুলি হল – গোরক্ষপুর ক্যান্টনমেন্ট-বাল্মীকিনগর রেল লাইন, কাটিহার-মুকুরিয়া ও কাটিহার-কুমেদপুর ডবল লাইন, পাছোরা-জামনের লাইনের গেজ পরিবর্তন এবং বোড়ওয়াড় পর্যন্ত লাইন সম্প্রসারণ।
তিনটি প্রকল্পই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর ফলে পশ্চাতভূমি পর্যন্ত পণ্য পরিবহণ দ্রুত করা যাবে যার ফলে লজিস্টিক্স-এর কার্যকারিতা বাড়বে এবং খরচ কমবে।
রেল মন্ত্রক ৩ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক টন পণ্য পরিবহণের লক্ষ্য পূরণের জন্য রেল লাইনের ‘হাই ডেনসিটি নেটওয়ার্ক’ চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অন্যতম কাটিহার-মুকুরিয়া এবং কাটিহার-কুমেদপুর ডবল লাইনের কাজ।
এই শাখাটি অত্যন্ত ব্যস্ত। বর্তমানে এটি সিঙ্গল লাইন। এটি দিয়ে রাজধানী চলাচল করে। উত্তর-পূর্বের সঙ্গে হাওড়াকে জুড়তে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই শাখাটি ডবল লাইন হলে কলকাতা বন্দর থেকে বিরাট নগর পর্যন্ত পণ্য চলাচলে সুবিধা হবে। এই প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে ৯৪২ কোটি টাকা।
এছাড়াও অন্য দুটি প্রকল্পের মধ্যে আছে গোরক্ষপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বাল্মীকিনগর অর্থাৎ, পশ্চিম ভারতের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে পণ্য পরিবহণ, বিশেষ করে খাদ্যশস্য পরিবহণে সুবিধা হবে।
বাল্মীকিনগর থেকে মুজফফরপুর পর্যন্ত রেল লাইন ডবল করার কাজ চলছে। গোটা প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে ১,১২০ কোটি টাকা। আরও একটি প্রকল্প হল মহারাষ্ট্রের পাছোরা থেকে জামনের রেল লাইনের গেজ পরিবর্তন এবং বোড়ওয়াড় পর্যন্ত রেল লাইনের সম্প্রসারণ। ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের জন্য খরচ হবে ৯৫৫ কোটি টাকা।
এই প্রকল্পগুলির জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ‘পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’-এর মাধ্যমে প্রস্তাবিত খরচে আগামী পাঁচ বছরে এই প্রকল্পগুলি রূপায়ণ সম্ভব হবে।