উমা যাবেন বাপের বাড়ি! উৎসবের মাঝেই বিষণ্ণতার সুর

উমা যাবেন বাপের বাড়ি! উৎসবের মাঝেই বিষণ্ণতার সুর

ব্যুরো রিপোর্ট: চারদিনের পুজো শেষ! আজ বিজয়া দশমী। কৈলাশে মহাদেবেরে কাছে ফেরার পালা মা উমার। আর তাই বিষাদের সুর বাংলায়। উৎসবের আনন্দ উচ্ছ্বাস শেষে সর্বত্রই বিষণ্ণতা। আরও একটা বছরের অপেক্ষা। ইতিমধ্যে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্যান্ডেলে সুর হয়েছে দশমীর বিশেষ পুজো।পুজো চলছে বেলুড় মঠেও ।

সকালে নিয়ম মেনে হয় মঙ্গল আরতী। এরপর দশমীর বিশেষ পুজো । মহালয়ার দিন থেকে রাৎ জাগতে শুরু করে আপামর বাঙালি! একের পর এক প্যাল্ডেলে একেবারে উপচে পড়া ভিড়। আর তা সামলাতে রীতিমত হিমশিম অবস্থা হয় পুলিশ প্রশাসনের। এমনকি নবমীর দিন সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।কিন্তু সেই বৃষ্টিসুর কাবু করতে পারেনি বাঙালি পুজোপ্রেমীদের।

আর তাই বৃষ্টি কমতেই পুজো মন্ডপগুলিতে ভিড়। রাত যত বেড়েছে তত ভিড় বেড়েছে একের পর এক পুজো মন্ডপগুলিতে। তবে দশমীর সকাল থেকেই ছবিটা বদলে গিয়েছে। সর্বত্রই বিষাদের সুর । ইতিমধ্যে বিসর্জনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।শোভাবাজারে চলছে সেই প্রস্তুতি।

প্রথমে বিশেষ পুজো, এরপর কনকাঞ্জলী এবং সিঁদুর খেলার শুরু হবে। এরপরেই বাগবাজার ঘাটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে প্রতিমাকে। প্রবীণ পুজো বাগবাজার সার্বজনিনের। আজ মঙ্গলবার এই পুজো মন্ডপেরও প্রতিমাও বিসর্জন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে সিঁদুর খেলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। বেলুড় মঠে বিশেষ পুজো চলছে। হয়েছে বিশেষ আরোতীও। এরপর ঘরের মেয়ে উমাকে প্রথমে শীতলভোগ দেওয়া হবে। আর এরপরেই বিসর্জনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

মঠের সন্ন্যাসীরা দেবীর প্রদক্ষিণ করেন এবং বিসর্জনের আচার পালিত হয়। এরপর বিজয়ার পুজো করা হয়।নব[পত্রিকা এবং দেবী মুর্তির সামনে সেই পুজো হয়।

আর এর মধ্যে দিয়েই ঘট বিসর্জন হয়। যদিও মঠের প্রতিমা বিসর্জন হয় মন্দিরের সন্ধ্যারতির পর। মঠের সন্ন্যাসীরা সবাই মিলে মাকে নিরঞ্জনের জন্যে নিয়ে আসেন মঠের ঘাটেই। আর তা দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *