ওয়েব ডেস্ক ; : লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল করতে জাতীয় ভিত্তিতে চিহ্নিত ১৩টি রাজ্যে ব্যাপক হারে বার্ষিক ওষুধ প্রয়োগ কর্মসূচির সূচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। এই ১৩টি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আজ ভিডিও কনফারেন্স করেন তিনি। কর্মসূচির আওতায় রাজ্যগুলির ১১১টি জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধ দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আওতাধীন মশক বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক জাতীয় কেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজেস কন্ট্রোল এই কর্মসূচি রূপায়ণে নেতৃত্ব দিচ্ছে। লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিসকে চলতি ভাষায় “হাতি পা” বলা হয়। মশার মাধ্যমে এই রোগের জীবানু ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাঁদের বাড়ির লোকজন দীর্ঘ হয়রানির শিকার হন।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাধারা অনুযায়ী এই কর্মসূচিকে জন-আন্দোলন করে তোলা দরকার। এই রোগ মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তোলে। ২০৩০-এ ধারাবাহিক উন্নয়নী লক্ষ্যসমূহ অর্জনের সময়সীমার আগেই তা নির্মূল করতে বহুমাত্রিক কৌশলের কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আজ থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচির আওতায় ১৭.৫ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হবে। তবে তাঁরা যাতে তা প্রয়োগ করেন, তা নিশ্চিত করা জরুরি। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে চিহ্নিত ৯০ শতাংশ মানুষ যাতে এই ওষুধ পেয়ে যান, তাও দেখা দরকার।
এই রোগ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে প্রাদেশিক স্তরে নজরদারি এবং দ্রুত রোগ চিহ্নিতকরণের ওপর জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কর্মসূচির যথার্থ রূপায়ণে বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তাও তিনি তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার প্রসারও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। এক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলেছেন তিনি।
কর্মসূচির আওতায় যে রাজ্যগুলি রয়েছে, তারা হল পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, কেরালা, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট, ছত্তিশগড়, বিহার, অসম এবং অন্ধ্রপ্রদেশ।
তবে দু বছরের নিচে থাকা শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং খুব বেশি অসুস্থদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহারযোগ্য নয়।