ব্যুরো রিপোর্ট: আগামী দুদিন তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকলেও, এরপর থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এদিন এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দুইবঙ্গেই বৃষ্টির সম্ভাবনা।
শুক্রবার তুলনামূলক বেশি জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। মূলত পশ্চিম ঝঞ্ঝার কারণেই এই পরিস্থিতি।এদিন বিকেলে দেওয়া আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
তবে বৃহস্পতিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ বজবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। আর শুক্রবার হিমালয় সংলগ্ল পাঁচটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা কয়েছে।
আগামী দুদিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম বড় কোনও পরিবর্তন না হলেও তারপরে তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বিকেলে দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়াই শুকনো থাকবে। তবে শুক্রবার ২১ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তরবঙ্গের মতোই দক্ষিণবঙ্গে আগামী দুদিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। এরপরেই তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
আগামী দুদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। সমতল এলাকায় এদিন সব থেকে কম তাপমাত্রা ছিল পুরুলিয়ায়, ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তবে সকালের দিকে কুয়াশা কিংবা ধোঁয়াশা থাকতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৩ ও ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২২.৬)
বালুরঘাট ( ২২.৮)
বাঁকুড়া (২২)
ব্যারাকপুর (২৩.৪)
বহরমপুর (২৫.৪)
বর্ধমান (২৩)
ক্যানিং (২৩)
কোচবিহার (২৬.৭)
দার্জিলিং (১৩.৪)
দিঘা (২৩.৬)
কলকাতা (২২.৫)
মালদহ (২২)
পানাগড় ( ২২.৭)
পুরুলিয়া (২০.৩)
শিলিগুড়ি (২৫.৬)
শ্রীনিকেতন (২২.৫)
২১ জানুয়ারি শুক্রবার নাগাদ নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করতে চলেছে। যার জের পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত কিংবা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
হিমাচল প্রদেশে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ২২ জানুয়ারি নাগাদ। এছাড়াও উত্তর ভারতের প্রায় সবকটি রাজ্যেই ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা গয়েছে।