ব্যুরো রিপোর্ট: সকাল থেকে কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ কার্যত পরিষ্কার। সকাল থেকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও শুরু হয়েছে।
উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে ৬ অক্টোবর নাগাদ পর্ষা বিদায়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও আপাতত রাজ্যে থেকে বর্ষা বিদায়ের কোনও খবর দিতে পারেনি আবহাওয়া দফতর।
শনিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৪ অক্টোবর সোমবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭-১১ সেমি) হওয়ার সম্ভাবনা।
উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে।
তবে আপাতত দিনের তাপমাত্রা পরিবর্তনের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী
৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৪ অক্টোবর সোমবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
তবে কোথাও আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রারও সেরকম কোনো পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে।
এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।শনিবার সকালে দেওয়া কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,
আগামী ২৪ ঘন্টায় আকাশ অংশত মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৪ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
ব্রাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৩.৮)
বালুরঘাট (২৬.৮)
বাঁকুড়া (২৪.৫)
ব্যারাকপুর (২৫.৮)
বহরমপুর (২৫.৪)
বর্ধমান (২৫)
ক্যানিং (২৬.৪)
কোচবিহার (২৫.৪)
দার্জিলিং (১৫.৪)
দিঘা (২৬.২)
কলকাতা (২৬.২)
মালদহ (২৬.৯)
পানাগড় (২৪.৯)
পুরুলিয়া (২৩.১)
শিলিগুড়ি (২৫)
শ্রীনিকেতন (২৫)
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে একটি নিম্নচাপ এবং সঙ্গে থাকা ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ বিহার এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে অভস্থান করছে। অন্যদিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে।
তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, লাক্ষাদ্বীপ-সহ বিভিন্ন জায়গায় ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ২ অক্টোবর নাগাদ দক্ষিণ তামিলনাড়ুতে অতি প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে আরব সাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় শাহিন ভারতের উপকূল ছেড়ে পাকিস্তানের দিকে চলে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।