ব্যুরো রিপোর্ট: সকাল থেকেই কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ পরিষ্কার। তবে সঙ্গে অধিক আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর নাগাদ উত্তর এবং সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে
একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। যার জেরে ওইদিন থেকে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের।বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,
আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে সব জেলাতেই কোনও না কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে এই সময়ের মধ্যে।
পাশাপাশি আগামী দিন কয়েকে দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
উত্তরবঙ্গের মতোই সবকটি জেলারই কোনও না কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার নাগাদ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। ওইদিন পূর্ব মেদিনীপুর,
পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার
আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে যে কোনও সময়। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩২ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৪)
বালুরঘাট (২৬.৪)
বাঁকুড়া (২৪.৫)
ব্যারাকপুর (২৫)
বহরমপুর (২৫.৪)
বর্ধমান (২৪)
ক্যানিং (২৩.৬)
কোচবিহার (২৬)
দার্জিলিং (১৫)
দিঘা (২৫.৫)
কলকাতা (২৫.২)
মালদহ (২৬.৪)
পানাগড় (২৫.৭)
পুরুলিয়া (২৪.১)
শিলিগুড়ি (২৫.২)
শ্রীনিকেতন (২৪.৮)
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর এবং সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে রবিবার নাগাদ একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। বৃহস্পতিবারেই এবিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে মৌসুমী অক্ষরেখার পশ্চিম দিকের অংশ তার স্বাভাবিক অবস্থানের দক্ষিণে অবস্থান করছে। আগামী দিন চারেক সেই জায়গাতেই অবস্থানের সম্ভাবনা। পূর্ব দিকের অংশ স্বাভাবিক অবস্থানের উত্তরে অবস্থান করছে।
যা ১০ সেপ্টেম্বর নাগাদ দক্ষিণ দিকে সরে যেতে পারে। বর্তমানে মৌসুমী অক্ষরেখা দেসা, দক্ষিণ পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার নিম্নচাপ এলাকার মধ্যে দিয়ে সাগর, অমিকাপুর, জেমশেদপুর, কলকাতা হয়ে মিজোরাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।