আবহাওয়ার খবর: বর্ষার বিদায়লগ্নে শীতের শুরু কবে থেকে! পূর্বাভাস একনজরে

আবহাওয়ার খবর: বর্ষার বিদায়লগ্নে শীতের শুরু কবে থেকে! পূর্বাভাস একনজরে

ব্যুরো রিপোর্ট:  অনেকেই মজার ছলে বলছেন, বাংলায় দুটি ঋতুই অনুভূত হচ্ছে আজকাল। একটি হল গরম আর আরেকটি হল বর্ষা। কার্যত এই দুই মরশুমের অনুভূতিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী।

গত কয়েক মাসে ভ্যাপসা গরম ছেড়ে পুজোর কয়েকটা দিন নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা দেখার অপেক্ষায় থাকলেও,ঘোলাটে বর্ণের মেঘে ঢাকা আকাশ কার্যত মুখ বেজার করে ছিল গোটা শরৎকালে।

তারপর দশমী কাটতে না কাটতেই শুরু প্রবল বর্ষণ। দুর্যোগের বেলা কাটিয়ে এরপর এবার মিঠে রোদে গা সেঁকে নেওয়ার পালা আসছে বাঙালির সামনে। একনজরে দেখা যাক , আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে শনিবার থেকেই বিদায় নিচ্ছে বর্ষা। ফলে আর মুখভার করা আকাশ নয়, এবার দেখা যাবে নীল আকাশ। ২৩ অক্টোবর থেকেই বর্ষা বিদায় নেবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

এর আগে বুধবার পর্যন্ত বাংলার প্রায় প্রতিটি জেলাতেই ছিল প্রবল বর্ষণের পূর্বভাস।বৃষ্টি পিছু ছাড়ছেনা বাংলার। দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বর্ষণের পর এবার উত্তরবঙ্গে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা শুরু হচ্ছে।

আলিপুরদুয়ারে এদিন সকাল থেকই ভারী পূর্বাভাস আগেই জানিয়এছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হালকা থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি শনিবার সকাল থেকে উন্নত হবে বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও, তা হয়নি সেভাবে। একাধিক জেলায় বৃষ্টির দাপট কমতেই সকাল হতেই শীত শীত ভাব নিয়ে ঘুম ভাঙছে দক্ষিণবঙ্গের।

আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণবঙ্গে একাধিক জেলায় কমেছে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে গোটা দেশ থেকেই প্রায় ২৬ অক্টোবরের মধ্যে বিদায় নিতে চলেছে বর্ষা।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ঠিক কবে নাগাদ শীত এ রাজ্যে প্রবেশ করবে , তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আগামী দুই একদিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ভ্যাপসা গরম কার্যত উধাও।

তবে রাতের দিকে তাপমাত্রা ধীর ধীরে এবার পতন হতে শুরু করবে। তবে সকালের দিকে চড়া রোদ থেকে যাবে।এদিকে প্রবল বর্ষণে ভাসছে উত্তরাখণ্ড। হিমাচল প্রদেশেও পড়েছে তার প্রভাব।

অন্যদিকে, আইএমডি বলছে, ১ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে যা বর্ষণ হয়েছে তা স্বাভাবিকের থেকে ৪১ শতাংশ বেশি । মৌসম ভবনের খবর অনুযায়ী, অন্যান্য বছরে এই সময়ে ৬০.২ মিলিমিটার বর্ষণ হয়, আর এই বছরে দেশে ৮৪.৮ মিলিমিটার বর্ষণ হয়। এই সময়কালে এই বছর রেকর্ড বর্ষণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *