ব্যুরো রিপোর্ট: আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, হিমালয়ের পাদদেশের থাকা বাংলার একাংশ সহ উত্তর পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমজির পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন অংসশে ১৪ থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা থাকছে।
বাংলা সহ, বিহার, অসম, মেঘালয়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বর্ষণের আশঙ্কা থেকে যাচ্চে। একনজরে দেখা যাক, বাংলার কোন কোন জেলায় আজ প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা থাকছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ১৪ অগাস্ট। ভারী বর্ষণ হতে পারে ,
দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদাতে। এদিকে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালম্পং ভিজতে পারে পর্বল হারে। তবে এই বর্ষণের জেরে তাপমাত্রার সেভাবে কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রবল বর্ষণের ঘটনা ঘটে গেলেও, বাংলায় ১৫ অগাস্টের মাঝে সেভাবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলার বেশ কয়েকটি জেলায়। বর্ষণের জেরে তাপমাত্রার পরিবর্তন সেভাবে দক্ষিণবঙ্গেও দেখা যাবে না বলে জনানো হয়েছে।
গতকালের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, কলকাতার আকাশের মুখ আজ ভার থাকবে। তবে তারই মাঝে সপ্তাহান্তে ইলিশের মরশুমে দু এক পশলা বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টিপাতের পর কলকাতায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে সর্বনিম্ন ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
এদিকে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আইএমডির তরফে জানানো হয়েছে। নর্থ ইস্ট পেনিনসুলার এলাকায় আগামী দিনে আরও বৃষ্টি বাড়বে। অর্থাৎ উত্তর পূর্ব ভারতরে বর্ষণের পরিমাণ প্রবল হারে বাড়তে থাকবে।
এদিকে উত্তরপূর্ব ভারত থেকে বর্ষণের পরিমাণ যেমন বাড়বে, তেমনই তার প্রভাব দেখা যাবে পূর্ব ও মধ্য ভারতে। সেখানেও আগামী ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের দিন পর্যন্ত ব্যাপক বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, আইএমডির তরফে জানানো হয়েছে,
বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ভারতের বিভিন্ন অংশে আগামী ৫ দিন ধরে চলবে। জানানো হয়েছে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, সিকিমে আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ হবে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহারে।
এদিকে, গঙ্গার নিম্ন অববাহিকার বিভিন্ন জায়গায় জলস্তর বাড়তে থাকায় ভয়াবহ বন্যা দেখা গিয়েছে। মালদায় ৩০ গ্রামে রাতে গঙ্গার জল প্রবেশ করে প্রবল বন্যা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে গঙ্গার জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে যেতেই এই বন্যার ঘটনা ঘটেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে মহানন্দা, ফুলোহার, গঙ্গার জলস্তর বাড়তে দেখা যায়। প্রবল বর্ষণের জেরেই এমন ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে মালদার মানিচক থেকে রতুয়ার ব্লকগুলি ভাসছে। প্রায় ৫০০ পরিবার এর জেরে বিপদগ্রস্ত।
এদিকে প্রবল বর্ষণে কার্যত ভাসছে উত্তরপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশের ২৪ টি জেলার ৬০০ গ্রাম কার্যত বানভাসী আপাতত। একদিকে বন্যায় বানভাসী মানুষকে ত্রাণ দিয়ে নির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া ,
অন্যদিকে বর্ষাকালে বিভিন্ন ধরনের জ্বর জ্বালা থেকে মানুষকে রক্ষা করে এই দুই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেখানে কর্মরত যোগী প্রশাসন। উত্তরপ্রদেশে, বারানসী থেকে গাজিপুর যখন ভাসছে ,তখন বিহারেও একাধিক জায়গা জলমগ্ন। বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ পাটনায়।
আসানসোল ৩৪.৫
বালুরঘাট ৩১.৬
বাঁকুড়া ৩৪.৪
বহরমপুর ৩৩.৬
কোচবিহার ৩৩.৪
বর্ধমান ৩৬.০
দার্জিলিং ২১.২
ডায়মন্ডহারবার৩৩.০
কালিম্পং ২৭.০
মেদিনীপুর ৩৪.০
কৃষ্ণনগর ৩৫.২
পুরুলিয়া ৩৩.৩
শ্রীনিকেতন ৩৩.৪
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখার বিস্তার হিমালয়ের পাদদেশ থেকে গোরক্ষপুর, মুজাফ্ফরনগর শান্তিনিকেতন, হলদিয়া হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব থেকে বঙ্গোপসাগর উত্তর পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছে।
এরসঙ্গেই বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুল পরিমাণ জলীয় বাষ্প প্রবেশ করেছে স্থলভাগে। যার ফলে বাংলায় বহু জেলায় ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত বর্ষণ দেখা যেতে পারে।