ব্যুরো রিপোর্ট: ২০০ কিলোমিটারের বিধ্বংসী গতিবেগ নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে মোখা। বাংলাদেশের কক্সবাজারে দুপুরে ল্যান্ডফল করে ঘূর্ণিঝড়টি। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তাণ্ডব চালানোর পর মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে আছড়ে পড়ে সেটি। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে মায়ানমার এবং বাংলাদেশ উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে মোখা।মোখার তাণ্ডবে গতকালই মায়ানমারে এক কিশোরের মত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল।
তারপর আরপ তোমন কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় নি। তবে ক্ষয়ক্ষতি অগুনতি। একের পর এক বাড়ি ঘর ধসে গিয়েছে। গুঁড়িয়ে গিয়েছে কাঁচা বাড়ি। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তা যেন নদী এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েে সেখানে।
যে বিধ্বংসী গতি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা আছড়ে পড়েছিল বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের উপরে তাতে সেই রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মায়ানমারে অন্তত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশে তেমন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মারাত্মক।
বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অধিকাংশ বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। রাস্তাঘাট জলমগ্ন। এতটাই খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছে।চেনা যাচ্ছে না কোনটা রাস্তা কোনটা নদী। শরণার্থীদের শিবির নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। সেখানে আর কোনও কিছুর অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশের কক্সবাজার, পায়রা সমুদ্র বন্দর লন্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে। মায়ানমারের পরিস্থিতি আরও খারাপ। রাখাইন প্রদেশে গুঁড়িয়ে গিয়েছে বাড়িঘর। রাস্তাগুলি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। মায়ানমারেই ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে। বাংলাদেশ প্রায় ৫ লক্ষ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ।
তারমধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও ছিলেন। তাঁদের শিবির একেবারে ঝড়ের দাপটে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। মায়াণমারে এখনও বর্ষণ চলছে বেশ কিছু জায়গায়। আগেই হড়পা বান এবং ধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।এদিকে মোখার তাণ্ডব চলে যেতেই বঙ্গে পারদ চড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা সহ রাজ্যের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা চড়তে শুরু করবে। বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবােহর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে ১৭ মে থেকে ফের আবহাওয়া বদলে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
মোখা একদিকে যেমন ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তেমনই বর্ষার বৃষ্টিকে এগিয়ে নিয়ে আসার মত ভাল কাজও করেছে। আগামী ১৭ তারিখ থেকে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।