ব্যুরো রিপোর্ট: কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তর ভারত। আজও রাজধানী দিল্লির ঘুম ভাঙল হাড় কাঁপানো ঠান্ডা নিয়ে। তাপমাত্রা নেমেছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ইতিমধ্যেই শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন দিল্লিতে চলবে শৈত্যপ্রবাহ।
তার জেরে আরও তাপমাত্রার পারদ পতন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। শীত থেকে বাঁচতে রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে হাত পা গরম করছেন মানুষ।রাজধানী দিল্লিতেও হু হু করে নামছে পারদ। কনকনে ঠান্ডা নিয়েই ঘুম ভাঙল দিল্লিবাসীর।
কনকনে ঠান্ডায় সপ্তাহের শেষ দিনে কোনও রকমে কাজে যেতে শুরু করেছেন মানুষ। রাস্তার ধারে আগুন জ্বলিয়ে গা গরম করতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মানুষকে। তার সঙ্গে বেড়েছে গরম চায়ের চাহিদাও। সকাল থেকে গরম চায়ের ভাড় হাতে দেখা যাচ্ছে রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষকে।
কনকনে ঠান্ডার দাপটে প্রাতভ্রমণকারীদের তেমন রাস্তায় দেখা যায়নি সকালে।কনকনে ঠান্ডায় হাত থেেক গরিব মানুষ, ভবঘুরে, ভিখিরিরা যাতে বাঁচতে পারেন তার জন্য দিল্লি শহরে খুলে দেওয়া হয়েছে ১৯৭ টি আবাসস্থল। কনকনে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে রাতে এই সব আবাসস্থলে আশ্রয় নিচ্ছেন গরিব মানুষ।
যাদের শীত কাটানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও ২৫০টি অস্থায়ী তাবু তৈরি করা হয়েছে। সেখানও গরিব মানুষ রাত কাটাতে আশ্রয় নিতে পারেন। দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে এই অস্থায়ী ক্যাম্পগুলি।আগেই পারাপতনের ইঙ্গিত দিয়েছিল হাওয়া অফিস।
এবার রাজধানী দিল্লিতে শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। গত ৫ দিন ধরে রাজধানী দিল্লির পারা পতন চলছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গিয়েছে। ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা। রাতে এবং ভোরে আরও নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। শীতে যাকে বলে জবুথবু রাজধানীর মানুষ।
দীর্ঘদিন এতটা জাঁকিয়ে শীত এতদিন ধরে পড়েনি দিল্লিতে। এবার অক্টোবরের শেষ থেকেই পারাপতন শুরু হয়েছিল দিল্লিতে।রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি কলকাতার তাপমাত্রাও রেকর্ড কমেছে। কলকাতা শহরের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়ায়ে। গত ৫ বছরে যা রেকর্ড।
গতকাল ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি কমে ১০.৯ হয়ে গিয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে শহরবাসী। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা ।তাপমাত্রার পারদ আরও নামতে শুরু করে দিয়েছে।
পুরুলিয়া জেলার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়ায়ে। বাঁকুড়া জেলার তাপামাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। আগামী কয়েকদিন পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।