সুইসাইড নোটে নাম থাকলেই কি দোষ প্রমাণিত? ‘নয়া’ অবস্থান নিয়ে কী বলছে আদালত

সুইসাইড নোটে নাম থাকলেই কি দোষ প্রমাণিত? ‘নয়া’ অবস্থান নিয়ে কী বলছে আদালত

ব্যুরো রিপোর্ট:  কোনও সুইসাইড নোটে কারও নাম থাকলে, তা সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ যথেষ্ট নয়। এমনটাই মত আদালতের । এব্যাপারে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের তরফে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পঞ্জাবের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে করা এফআইআর বাতিল করা হয়েছে।

আদালতে মৃতের পরিবারের তরফে এফআইআর বাতিল করতে আবেদন করেছিলেন হরভাজন সান্ধু নামে এক ব্যক্তি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারার অধীন আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার জন্য যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তা বাতিল করতে আদালতে আবেদন করা হয়।

আদালতে হরভাজন সান্ধুর আইনজীবী কৃষাণ সিং দাদওয়াল দাবি করেন যদি এফআইআর এবং সুইসাইড নোট যদি সঠিক বহলে ধরেও নেওয়া হয়, তবুও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারার অধীনে অপরাধ প্রমাণ করা যায় না।

পাশাপাশি প্ররোচনার প্রশ্নই ওঠে না, কেননা ২০১৯-এ করা প্রথম এফআইআর-এ আবেদনকারী নথিভুক্ত ছিলেন না।আদালতে করা অভিযোগ অনুযায়ী, মনজিত লাল ২০১৯-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি আবেদনকারীর শ্যালক বলজিন্দর কুমার এবং অন্য ছয়-সাতজনের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিল।

পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মনজিত লাল আত্মহত্যা করেন। এফআইআর-এ অভিযোগ করা হয়েছিল মনজিত লালের বাবা জসবিন্দর লাল অভিযোগ করেছিলেন ছেলেকে হয়রানিই আত্মহত্যার কারণ।

আদালতে দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পরে বিচারপতি জসজিৎ সিং বেদী এর আগে দেওয়া বিভিন্ন হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বলেন, যে প্ররোচনার কথা বলা হচ্ছে, সেই ঘটনা এবং পরবর্তী কালে আত্মবত্যার মধ্যে আনুমানিক এবং লাইভ লিঙ্ক থাকা জরুরি।

এক্ষেত্রে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই অভিযোগ মৃত্যুর একমাত্র কারণ হতে হবে, যে কারণে আত্মহত্যা। তবে এই মামলায় করা আবেদনে সিভিল হাসপাতালের ঘটনা ছাড়া অন্য আগেকার কোনও ঘটনার কথা উল্লেখ নেই।

শুধুমাত্র ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারির ঘটনার কথাই উল্লেখ রয়েছে।বিচারপতি বেদী আরও বলেছেন, শুধুমাত্র সুইসাইড নোটে নাম থাকলেই,

সেখান থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করা যায় না। এক্ষেত্রে সুইসাইড নোটটিকে সঠিক বলে ধরে নেওয়া হলেও, অভিযোগ প্রমাণ যথেষ্ট নয়, যা দিয়ে অভিযুক্তকে বিচার করা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *