ব্যুরো রিপোর্ট: নতুন সাজে সেজে উঠেছে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়াম। রাত পোহালেই ভারতের অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলার বিশ্বকাপের মঞ্চে পদার্পন করবেন। উল্লেখ্য, আয়োজক দেশ হিসেবে এই প্রথম বিশ্বকাপের খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ভারতীয় যুব মহিলা দল। এই মুহূর্তে শহরের ঢুকে বোঝার উপায় নেই যে মহিলাদের বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসেছে কলিঙ্গ শহরে।
বিশ্বকাপ ঘিরে ইতিমধ্যেই কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে আমূল সংস্কার করা হয়েছে।গ্রুপ-‘এ’-র পাঁচটি ম্যাচ হবে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। ভারত গ্রুপের তিনটি ম্যাচ খেলবে এই মাঠে, প্রতিপক্ষ আমেরিকা, মরক্কো এবং ব্রাজিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জনসাধারণের কাছে আবেদন রেখেছেন মাঠে আসার জন্য।
৯০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই স্টেডিয়াম সংস্করের কাজে। কমপ্লেক্সের ভিতরে নতুন ভাবে তৈরি হয়েছে দু’টি প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। ব্যাপক সংস্কার হয়েছে কৃত্তিক বাতি স্তম্ভেরও। একই সঙ্গে সংস্করা হয়েছে মাঠ, ভিআউপি লাউঞ্জেরও। স্টেডিয়ামের বাইর বিক্রি হচ্ছে টিকিট। টিকিট মূল্য রাখা হয়েছে ১০০ টাকা এবং ২০০ টাকা।
উল্লেখ্য, ১৬টি দল এবং নক আউট মিলিয়ে ৩২টি ম্যাচ হবে এই বিশ্বকাপে। ভুবনেশ্বর ছাড়াও নভি মুম্বই, গোয়ায় এই প্রতিযোগীতার ম্যাচগুলি আয়োজিক হবে। ফাইনাল ম্যাচটি হবে নভি মুম্বইয়ে ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে।
ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলের প্রশিক্ষক থমাস ডেননার্বি প্রবল আত্মবিশ্বাসী না হলেও মনে করছেন তাঁর মেয়েরা সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের রঙের পরিবর্তন ঘটতে পারে। নিজের দলের মেয়েদের উপর আস্থাশীল ভারতীয় কোচ জানাচ্ছেন,
শুধু মাত্র ফলাফল নয়, এই বিশ্বকাপে ভারতীয় মহিলা ফুটবলারদের প্রমাণ করার আছে তারাও ফুটবলটা খেলতে পারে।ভারতীয় দল দুর্দান্ত ভাবে নিজেদের মেলে ধরার জন্য ইতিমধ্যেই দীর্ঘ অনুশীলন এবং এক্সপোজার ট্যুর করেছে।
শক্তিশালী ইউরোপীয় দলগুলির বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ পারফর্ম করেছে ভারতের মেয়েরা। ফলে আশা করাই যায় বিশ্বকাপে অন্তত নক-আউট পর্যায়ে যেতে পারবে ভারতের মেয়েরা।