ব্যুরো রিপোর্ট: ফের নেতাজিকে স্মরণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর । রবিবার সন্ধেয় ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির মূর্তি উদ্বোধনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, নেতাজি স্বাধীন ভারতের বিশ্বাস জুগিয়েছিলেন।
আর এদিন আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে জাতীয় বালিকা দিবসে রাষ্ট্রীয় শিশু পুরস্কারের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নেতাজিকে স্মরণ করেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং রাজ্যমন্ত্রী মহেন্দ্রভাই উপস্থিত ছিলেন।এদিন প্রধানমন্ত্রী শিশু-কিশোরদের সঙ্গে কথাও বলেন।
তাঁদের কৃতিত্বের গল্প শোনেন তিনি। কীভাবে শিশু-কিশোররা এগিয়ে যেতে চায়, সে কথাও শোনেন প্রধানমন্ত্রী।শিশুদের সঙ্গে কথা বলার পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ দেন।
শিশু-কিশোরদের বলেন, তাঁরাই আগামীর ভবিষ্যত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পুরস্কার আরও একটি কারণে বিশেষ, সেটির সময়। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, শিশু-কিশোরদের এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, সেই সময় দেশ আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অধীনে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন শিশুদের উদ্দেশে নেতাজির বার্তার কথাও উল্লেখ করেন। এব্যাপারে রবিবার ইন্ডিয়া গেটে সুভাষচন্দ্র বসুর স্ট্যাচু উদ্বোধনের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, নেতাজির কাছ থেকে বড় থেকে বড় অনুপ্রেরণা পেয়েছে তাঁরা। কেননা নেতাজি বলতেন, কাজ এবং জাতিই হল প্রথমে। নেতাজির কাজ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশের কাজে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন তিনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বালিকা দিবস উপলক্ষে বলেন, দেশের কন্যারা এমন সব কাজ করছে, যা আগে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। করোনার টিকাকরণে অংশগ্রহণের জন্য শিশুদের প্রশংসা করেন তিনি।
ভারতের শিশুরা আধুনিক এবং বৈজ্ঞানিক মনস্ক বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি স্বচ্ছ্বভারত অভিযান সফলভাবে চালানোর জন্যও শিশুদের কৃতিত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন শিশুরা বাল সৈনিক হয়ে সবার কাছে বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে।
৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। উদ্ভাবনী শক্তি, শিক্ষা, খেলাধূলা, শিল্প ও সংস্কৃতি, সমাজসেবা এবং সাহসিকতায় দক্ষতার ওপরে নির্ভর করে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রত্যেক পুরস্কার প্রাপককে ১ লক্ষ টাকা এবং একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী এদিন ব্ল্যাক চেইন প্রযুক্তির ব্যবহার করে ২০২২-এর পুরস্কার প্রাপকদের হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট তুলে দেন। ২০২১-এর পুরস্কার প্রাপকদের হাতেই এদিন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়নি।