ব্যুরো রিপোর্ট: ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকে হাল্কা ভাবে নিলে হবে না। সতর্ক করলেন ওইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেছেন ব্রিটেনে যেভাবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে তাতে খুব একটা শান্তিতে থাকার কিছু নেই। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দৈনিক সংক্রমণ ১০০০ পার করেছে।
ভারতেও ১০০ পার করেছে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। গবেষকরা জানিয়েছেন এই ওমিক্রন সংক্রমণের হাত ধরেই ভারতে আসবে থার্ড ওয়েভ।ভারতেও ধীরে ধীরে থাবা চওড়া করছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ।
ইতিমধ্যেই দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। এই নিয়ে বিবৃতিও দিেয়ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। গবেষকরা যদিও দাবি করেছেন ওমিক্রন ভ্যারিেয়ন্টের সংক্রমণ তেমন মারাত্মক কিছু নয়। খুব মৃদু উপসর্গই দেখা দিচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে।
কিন্তু তাতেও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না ভারত। এইমের ডিরেক্টরের সতর্কবার্তায় সেই ইঙ্গিতই মিলেছে।২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকাতেই প্রথম খোঁজ মেলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের।
যারে বি১.১.৫২৯ ভ্যারিয়েন্ট বলা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নাম দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থাো এই ভ্যারিয়েন্টকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছেন। সব দেশকেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন।
করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজিত হয়েছে এখনও পর্যন্ত। সেই কারণে এর সংক্রামক ক্ষমতা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে অনেক বেশি। ডেল্টার থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি সংক্রামক বলে দাবি করেছিলেন গবেষকরা।
সেকারনেই বারবার সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন গবেষকরা।ওমিক্রন সংক্রমণ ভারতে থার্ড ওয়েভ নিয়ে আসবে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। এই নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরে ভারতে থার্ড ওয়েভ ধাক্কা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
তারপরেই সতর্ক মোদী সরকার। এইমসের ডিরেক্টর এই নিয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমাদের সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত এবং আশা করা উচিত যে ব্রিটেনের মতো পরিস্থিতি যেন খারাপ না হয়। ওমিক্রন নিয়ে আমাদের আরও তথ্যের প্রয়োজন।
খনই বিশ্বের কোনও প্রান্তে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, আমাদের উচিত দেশের পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি রাখা এবং যে কোনও পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখা। বিনা প্রস্তুতিতে বিপদের মুখে না পড়ে, তার তুলনায় প্রস্তুতি নিয়ে রাখাই উচিত।’ কাজেই তিনি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকে কিছুতেই হালকা ভাবে নিতে নারাজ।