গোয়ার মাটির নীচে সোনার খোঁজ, দিচ্ছে নতুন শিল্পের সন্ধান

গোয়ার মাটির নীচে সোনার খোঁজ, দিচ্ছে নতুন শিল্পের সন্ধান

ব্যুরো রিপোর্ট: গোয়া মানে পর্যটনের অন্যতম স্থান। এই শিল্পের উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে এই রাজ্যের অর্থনৈতিক কাঠামো। এবার সেখানেই অন্য এক শিল্পের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাও সোনার। কারণ,

গোয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত পরীক্ষায় উপকূলীয় রাজ্য গোয়ার খনির গর্ত থেকে কয়েক দশক ধরে রফতানি করা লৌহ আকরিকের মধ্যে সোনার মিলেছে।মনে করা হচ্ছে এর ফলে গোয়ার বিপর্যস্ত খনি শিল্পকে ফের দাঁড় করানো যাবে এবং সবার নজরে আনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের গবেষক সুজাতা দাভোলকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর নন্দকুমার কামাতের দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় ৭.৭১-১৩ পিপিএম পর্যন্ত সোনার ঘনত্ব প্রকাশ করেছে যা গোয়ার লৌহ আকরিকের অরিফেরাস (স্বর্ণযুক্ত) প্রকৃতি নির্দেশ করে।

জার্নাল অফ জিওসায়েন্সেস রিসার্চের সর্বশেষ সংস্করণে দুজনের দ্বারা প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে যে, এটি রাজ্যে পরিচালিত এই ধরনের প্রথম গবেষণা যা গোয়ার লোহা আকরিক খনি থেকে উত্তোলিত আকরিকের মধ্যে সোনার উপস্থিতি বিশ্লেষণ করে, যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সেই ২০১৮ সালে।

ওই সময় থেকে সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশ অনুসরণ করে খনির ইজারা পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ায় বন্ধ রয়েছে।গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, “নমুনাগুলিতে সোনার শনাক্তকরণ করা গিয়েছে। গোয়ার লৌহ আকরিকের অরিফেরাস প্রকৃতির ইঙ্গিত করে সোনার ঘনত্ব ৭.৭১-১৩ পিপিএম ।

গোয়ার অবহেলিত অরিফেরাস লোহা আকরিক নিয়ে আরও গবেষণা করা দরকার,”। গবেষকরা এও বলছেন, “গোয়ার বিএইচকিউ (ব্যান্ডেড হেমাটাইট কোয়ার্টজাইট) এবং বিএমকিউ (ব্যান্ডেড ম্যাগনেটাইট কোয়ার্টজাইট) থেকে সোনার শনাক্তকরণ” সম্পর্কিত এটাই প্রথম প্রতিবেদন।

“গোয়ায় লৌহ আকরিকের জন্য খনির অনুসন্ধান পর্তুগিজ যুগে শুরু হয়েছিল। তখন একটি আটকে পড়া পর্তুগিজ জাহাজ সাম্রাজ্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্য ও ব্যবসার উদ্দেশ্যে গোয়াতে তাদের ঔপনিবেশিক প্রজাদের জন্য খনির ইজারা খনন করেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য কয়েকশ খনির ইজারা খনন করা হয়েছিল যার মধ্যে প্রায় ১০০টি ২০১২ সাল পর্যন্ত চালু ছিল।

এরপর ৩৫ হাজার কোটি টাকার খনির কেলেঙ্কারির ফলে এই শিল্পের উপর প্রথম সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দুই বছর পরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, ২০১৮ সালে আরও একবার খনি উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল, যা এই শিল্পের উপর দ্বিতীয়বারের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

নিষেধাজ্ঞার আগে, ১৯৫১ থেকে ২০১০ সালের গোড়ার দিক পর্যন্ত লোহার আকরিক খনন ও রফতানি মাত্র ৪.৩৬ টন আকরিক থেকে বেড়ে প্রায় ৫০ মিলিয়ন টনে হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ সোনার ও লৌহ আকরিক অনুসন্ধান বন্ধ করার আগে সমীক্ষা অনুসারে চিন, জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, অন্যান্য দেশের বাজারে প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন টন লোহা আকরিক রফতানি হয়েছিল।

গবেষকরা তাদের গবেষণায় উল্লেখ করেছেন যে নিয়ন্ত্রক হিসাবে সরকারি খাত এবং বেসরকারি খনির কোম্পানি উভয়ই লৌহ আকরিকের “পদ্ধতিগত ভূ-রাসায়নিক মূল্যায়নের জ্ঞানের অভাব” ছিল এবং শুধুমাত্র একটি খনন এবং রফতানি কৌশলের দিকে পরিচালিত হয়েছিল, যা “সম্পূর্ণভাবে সোনার খনিজকরণকে উপেক্ষা করেছিল।

” ডব্লিউডিসি (পশ্চিম ধারওয়ার ক্র্যাটন) রাসায়নিকভাবে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় এবং সৃজনশীল আর্কিয়ান শিলা দ্বারা সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও, গোয়াতে এখনও একটি নিবিড় জ্ঞান ভিত্তিক টেকসই খনির নীতির অভাব রয়েছে৷ ভারতের ভূতাত্ত্বিক জরিপ, আইআইটি দ্বারা সোনার নিশ্চিতকরণের আরও সুযোগ রয়েছে এবং ভারতের অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমীক্ষায় সেটাই বলা হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, “স্বর্ণের ধাতববিদ্যা নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। সোনার জৈব-রাসায়নিক সাইক্লিং অধ্যয়ন করা যেতে পারে যার মধ্যে ভার্মিফর্ম গোল্ড, ফাইটোফর্ম গোল্ড, পলিমাটির আমানত থেকে সোনা, পলি এবং ল্যাটেরাইটের খোঁজ সহ গবেষণা করা যেতে পারে,” ।

গবেষকরা তাদের গবেষণায় উল্লেখ করেছেন যে নিয়ন্ত্রক হিসাবে সরকারি খাত এবং বেসরকারি খনির কোম্পানি উভয়ই লৌহ আকরিকের “পদ্ধতিগত ভূ-রাসায়নিক মূল্যায়নের জ্ঞানের অভাব” ছিল এবং শুধুমাত্র একটি খনন এবং রফতানি কৌশলের দিকে পরিচালিত হয়েছিল, যা “সম্পূর্ণভাবে সোনার খনিজকরণকে উপেক্ষা করেছিল।

” ডব্লিউডিসি (পশ্চিম ধারওয়ার ক্র্যাটন) রাসায়নিকভাবে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় এবং সৃজনশীল আর্কিয়ান শিলা দ্বারা সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও, গোয়াতে এখনও একটি নিবিড় জ্ঞান ভিত্তিক টেকসই খনির নীতির অভাব রয়েছে৷

ভারতের ভূতাত্ত্বিক জরিপ, আইআইটি দ্বারা সোনার নিশ্চিতকরণের আরও সুযোগ রয়েছে এবং ভারতের অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমীক্ষায় সেটাই বলা হয়েছে।গবেষণায় বলা হয়েছে, “স্বর্ণের ধাতববিদ্যা নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

সোনার জৈব-রাসায়নিক সাইক্লিং অধ্যয়ন করা যেতে পারে যার মধ্যে ভার্মিফর্ম গোল্ড, ফাইটোফর্ম গোল্ড, পলিমাটির আমানত থেকে সোনা, পলি এবং ল্যাটেরাইটের খোঁজ সহ গবেষণা করা যেতে পারে,” ।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *