ব্যুরো রিপোর্ট: নতুন বছরের শুরুর দিনটি কৃষকদের সঙ্গে উদযাপন প্রধানমন্ত্রী মোদীর । শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নতুন বছরের শুরুর দিনটিতে তিনি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়াও তিনি পিএম কিষাণ প্রকল্পের ১০ ম কিস্তির টাকাও তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
কৃষকদের চাপে পড়ে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরে ৫ রাজ্যের ভোটের প্রাক্কালে কৃষকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পিএম কিসানের ১০ম কিস্তির টাকা তুলে দেন।
এদিন ২০ হাজার কোটি টাকা পিএম কিসান সম্মাননিধি যোজনার অধীনে কৃষকদের দেওয়ার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের প্রায় ১১.৫ কোটি কৃষক পরিবার উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি।
যার কার্যকারিতা শুরু হয়েছিল ২০১৮-র ১ ডিসেম্বর থেকে। গত অগাস্টে এই প্রকল্পের নবম কিস্তিতে ১৮,৫০০ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল কৃষকদের হাতে।এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন ৩৫১ টি ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশনের হাতে ১৪ কোটির বেশি টাকা তুলে দিয়েছেন।
এর জেরে প্রায় ১.২৪ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন।কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে ৬৫,৮০০ কোটি টাকা বেশি এই প্রকল্পে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হয়েছে।
১ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে কার্যকরী হওয়া এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১.৬১ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।পিএম কিসান প্রকল্পের অধীনে কৃষক পরিবারগুলির অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ হাজার করে টাকা পাঠানো হয়।
এই টাকা দেওয়া হয় তিনটি কিস্তিতে, ২ হাজার করে, ৪ মাস পরপর। তবে বর্তমানে সরকারি কর্মী কিংবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের কৃষি জমি থাকলেও তাঁরা এই সুবিধা পান না। এছাড়াও সাংসদ, বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা এই প্রকল্পের আওতার বাইরে রয়েছেন।
এছাড়াও যেসব কৃষক নিজেদের কৃষি জমি কৃষির কাজ বাদ দিয়ে অন্যকাজে ব্যবহার করছেন, তাঁরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পান না। ভূমিহীন কৃষক,
যাঁরা অন্যের জমিতে চাষ করেন, তাঁরাও এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।গত সেপ্টেম্বরে বলা হয়েছিল, বছরে ৬ হাজার টাকার সুবিধা বাড়িয়ে দ্বিগুন করা হবে। যদিও এব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।