ব্যুরো রিপোর্ট: বছর শুরুতেই বড় ধাক্কা বঙ্গ বিজেপির? কথা মতো কি দরজা খুলতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? আর সেই জল্পনা বাড়িতে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে পৌঁছে গেলেন বিজেপির দুই ‘তারকা’ বিধায়ক। প্রায় কয়েক ঘন্টা হয়ে গিয়েছে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠক চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে কি নিয়ে ঠিক বৈঠক তা অবশ্য এখন স্পষ্ট নয়। তবে জানা যাচ্ছে, তৃণমূলে যোগ দিলে তাঁদের কি দায়িত্ব দেওয়া হবে সেই নিয়েই সম্ভবত আলোচনা চলছে বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে এই খবরের কোনো গুরুত্ব নেই বলেই জানানো হয়েছে।গত বছর ডিসেম্বর ধামকার কথা বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এমনকি তিনটে তারিখ জানিয়ে বলেছিলেন বড় কিছু ঘটবে। শুধু তাই নয়, এই তিনদিনের দিকে নজর রাখার কথাও বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। যদিও তেমন কিছু ঘটেনি গোটা ডিসেম্বরজুড়ে। বরং শুভেন্দুর বেঁধে দেওয়া তারিখে দুটি অঘটনের সাক্ষী থেকেছে বাংলার মানুষ।
যদিও শুভেন্দুর তারিখ ধামকার মধ্যেই পালটা চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে শুভেন্দু গড়ে দাঁড়িয়ে দরজা খোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। বছর শুরুতেই দরজা খুলবেন বলে জানিয়ে ছিলেন মমতা ভাইপো।তাঁর এই হুঁশিয়ারি ঘিরেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
একাধিক নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। আর এর মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে পৌঁছে গেলেন বিজেপির দুই বিধায়ক। দুজনের মধ্যে একজন পশ্চিম মেদিনীপুরের তারকা বিজেপি বিধায়ক। এবং অন্যজন উত্তরবঙ্গের বিধায়ক বলে জানা যাচ্ছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে যোগদান কার্যত নিশ্চিত।
সম্ভবত আজ মঙ্গলবার তাঁরা যোগ দিলেও অন্য একদিন অফিসিয়ালি যোগদানের প্রক্রিয়া তৃণমূলের তরফে করানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। ওই দুই বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করলে বিধানসভায় বঙ্গ বিজেপির আসন সংখ্যা আরও কমে যাবে। শক্তি হারাবে শুভেন্দু অধিকারী এন্ড কোং।বলে রাখা প্রয়োজন, এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারী ত্রিপুরা উড়ে গিয়েছেন।
সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার করছেন। এই অবস্থায় দুই বিজেপি বিধায়কের দলত্যাগ বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ধাক্কা খায় বঙ্গ বিজেপি। বাংলাতে ১০০ এর গন্ডীও পাড় হয়নি তাঁরা। আর এরপরেই বিজেপি ছাড়েন মুকুল রায়।
তাঁর সঙ্গেই বিজেপি ছাড়েন আরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক। যদিও মাঝের দীর্ঘ সময়ে দল ভাঙানোর খেলা কিছুটা হলেও বাংলায় বন্ধ হয়। কিন্তু পঞ্চায়েতের আগে ফের দল ভাঙানোর খেলা শুরু বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।যদিও বঙ্গ বিজেপির দাবি, এই খবর সম্পূর্ণ ভাবেই অসত্য। বিধায়করা সবাই সবার দায়িত্বে কাজ করছেন বলেও জানানো হয়েছে।