করোনা মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ, ২ কোটি কোভিশিল্ড টিকা কেন্দ্রকে বিনামূল্যে দিল সিরাম ইনস্টিটিউট

করোনা মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ, ২ কোটি কোভিশিল্ড টিকা কেন্দ্রকে বিনামূল্যে দিল সিরাম ইনস্টিটিউট

রিপোর্ট -দেবাঞ্জন দাস: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি হয়ে গিয়েছে। ফের করোনা টিকায় জোড় দিয়েছে মোদী সরকার। তার মধ্যেই সিরাম ইনস্টিটিউট ২ কোটি কোভিশিল্ড টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যেই সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ১৭০ কোটি কোভিশিল্ড টিকা গোটা দেশের মানুষ পেয়েছে।

যদিও সেটা মোদী সরকার দাম দিয়ে কিনে নিয়েছিল। তারপরেই আবারও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় ২ কোটি কোভিশিল্ড টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।কেন্দ্রকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দিল সিরাম ইনস্টিটিউট।

২ কোটি কোভিশিল্ড বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্নধার। এই ২ কোটি কোভিশিল্ড টিকার দাম ৪১০ কোটি টাকা। সিরাম ইনস্টিটিউটের রেগুলেটরি বোর্ডের ডিরেক্টর প্রকাশ কুমার সিং জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সেকথা জানিয়েছেন।

কীভাবে এই টিকা গুলি ডেলিভারি করা হবে তা জানাতে বলা হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রকে ১৭০ কোটি কোভিশিল্ড টিকা বিক্রি করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট।ইতিমধ্যেই ভারতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। আগামী ৪০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কাজেই আর দেরি না করে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে মোদী সরকার।

সব হাসপাতালগুলিতে একবার করে মক ড্রিল হয়ে গিয়েছে। গত তিনবারের মত চতুর্থবার করোনা মোকাবিলায় কতটা সক্ষম রয়েছে হাসপাতালগুলি সেটা দেখা হয়ে গিয়েছে। সব রাজ্যকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত রাখতে বলা হয়েছে। সেই মত অতিরিক্ত অক্সিজেন মজুত করে রাখা হয়েছে। মেডিকেল অক্সিজেন তৈরির প্ল্যান্টগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই মোদী সরকার ন্যাজাল করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে েদশের সব সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে। ন্যাজাল ভ্যাকসিেনর দামও বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। বেসরকারি হাসপাতালে জিএসটিী নিয়ে ১০০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে এই ভ্যাকসিন।

আর সরকারি হাসপাতালে সাড়ে ৩০০ টাকার মধ্যেই দাম রয়েছে। যাঁরা করোনা ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ নিয়েছেন তাঁরা এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এই টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলে।চিনে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করাতেই সব দেশই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

জানুয়ারি মাসে চিনে ১০ লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসে মারা যেতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। চিনে এখন ঘরে ঘরে করোনা সংক্রমণ। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। সেকথা মাথায় রেখে ভারতে সব আন্তর্জাতিক উড়ানে নজরদারি শুরু হয়েছে। সব বিমানবন্দরেই বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *