ব্যুরো রিপোর্ট: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই হানা। দিল্লির ২০টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। নতুন কর ব্যবস্থায় অনিয়মের অভিেযাগেই সিবিআই তল্লাশি বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে আর্থিক তছরূপের অভিযোগে ইডি গ্রেফতার করেছিল মণীশ সিসোদিয়াকে।
সিবিআই অভিযান শুরু হওয়ার পরেই টুইট করে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে তিনি সিবিআইয়ের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সি প্রয়োগ করে দেশের মানুষকে হয়রান করা হচ্ছে বলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কটাক্ষ করে বলেছেন,সিবিআই যেভাবে টার্গেট করে তল্লাশি শুরু করেছে করুক। কোনো ভাবেই কিছু পাবে না। এর আগে একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই ভাবে তল্লাশি চালিয়েছে একাধিক নেতার বাড়িতে কিন্তু তারা কিছু পায়নি। এবারও কিছু পাবে না তারা।
গোটা বিশ্ব সাধুবাদ জানিয়েছে দিল্লির শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। সেখানে মোদী সরকার দিল্লির শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে।গত কয়েকমাস ধরে দিল্লি সরকার নতুন মাদক আইন কার্যকর করেছে।
তাই নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে রাজধানী দিল্লিতে। সব বেসরকারি মদের দোকান বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে কেজরিওয়াল সরকার। ৩১ অগাস্টের মধ্যে মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে কেবল মাত্র দিল্লি সরকার মদ বিক্রি করতে পারবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
দিল্লি সরকারের নতুন মাদক আইন নিয়ে তুমুল বিরোধিতা শুরু হয়েছে। মদ ব্যবসায়ীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারপরেই এই সিবিআই তল্লাশি বলে অভিযোগ। একাধিক অবিজেপি রাজ্যে ইডি-সিবিআই অভিযান বেড়েছে।
বিরোধীদের চাপে রাখতেই মোদী সরকার এজেন্সি প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। রাজনৈতিক স্বার্থে ইডি সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গেও শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ইডি সিবিআই প্রয়োগ করা হচ্ছে।