ব্যুরো রিপোর্ট: দেশে ক্রমে বেড়েই চলেছে করোনার প্রভাব। আক্রান্তের সংখ্যা যেমন ১৮ হাজারের উপরে রয়েছে তেমন মৃত্যুর সংখ্যাও চল্লিশের উপরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।ভারতে গত ঘন্টায় সংক্রমণের কারণে ৪৩ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ১৮ হাজার ৮৪০জন।
এমনটাই রিপোর্ট দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শনিবার (৯ জুলাই) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশটি গত ২৪ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেবন ১৬ হাজার ১০৪ জন। এখন সুস্থতার পহার ৯৮.৫১ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত এতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৮০ জন।ভারতে করোনাতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ০২৪ জন।
এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য। এর আগে রেকর্ড করা দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৩৩৫ জন।২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সক্রিয় কেস ২,৬৯৩ টি বৃদ্ধি হয়েছে বলে হিসেব মিলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সক্রিয় কেস মোট সংক্রমণের ০.২৯ শতাংশ বলে জানা গিয়েছেদেশে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৫লক্ষ ২৫ হাজার ৩৮৬ জন।
ভারতে, কোভিডের জেরে প্রথম মৃত্যু ২০২০ সালের মার্চ মাসে রিপোর্ট করা হয়েছিল। ৯ জুলাই দৈনিক পজেটিভ রেটের হার ৪.১৪ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) অনুসারে, ৮ জুলাই পর্যন্ত করোনার জন্য ৮৬ কোটি ৬১ হাজার ৭৭ হাজার ৯৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর মধ্যে শুক্রবার ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৭৮ টি কেস পরীক্ষা করা হয়।বাংলায় চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণ! কলকাতা সহ গোটা জেলাতেই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এই অবস্থায় গত ২৪ ঘন্টায় ফের বাংলায় বাড়ল করোনা সংক্রমণ। যা নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াচ্ছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
এখনই উদ্বেগের কিছু নেই। তবে সমস্ত মানুষকে মাস্ক এবং নুন্যতম দূরত্ব বিধি মেনে চলার বার্তা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আজ শুক্রবার ফের একবার বাংলায় বাড়ল করোনা সংক্রমণ। তথ্য অনুযায়ী এদিন ২ হাজার ৯৫০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ২৮৮৯ জন। ফলে এদিন নতুন করে সংক্রমণের গ্রাফ উপরের দিকে। ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হল ২০,৪৫,৭৮১ জন। শুধু সংক্রমনের বাড়বাড়ন্তই নয়, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।
প্রথম থেকে কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণাকে নিয়েই উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের হিসাব কার্যত অনেক কিছু বদলে দিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একাধিক জেলাতে সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে ছড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা।