ব্যুরো রিপোর্ট: সকালে কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় রোদ ঝলমলে আকাশ। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি পূর্বাভাস না থাকলেও উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে তা রয়েছে। মৌসুমী অক্ষরেখা অবস্থান করছে হিমালয়ের পাদদেশে।
বেলা বাড়তেই দক্ষিণবঙ্গে অস্বস্তির আবহাওয়া বিরাজ করবে বলেও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।এদিন সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৩১ অগাস্ট বুধবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি,
আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতি তিন জেলা উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের কোথাও আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আপাতত তা নেই। এদিন সকালে দেওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির কোথাও না কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
আপাতত দক্ষিণবঙ্গের কোথাও তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।এদিন সকালে কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় রোদ ঝলমলে আকাশ। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আগামী ২৪ ঘন্টায় আকাশ অংশত মেঘলা থাকার সম্ভাবনা।
কোথাও কোথাও বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৫.৯ )
বহরমপুর (২৭)
বাঁকুড়া (২৪.৮)
বর্ধমান (২৪.৬)
কোচবিহার ( ২৬.৪)
দার্জিলিং (১৬.২)
দিঘা (২৬.৭)
কলকাতা (২৭.৫)
দমদম (২৭.৭)
কৃষ্ণনগর (২৭.৮)
মালদহ (২৬.৮)
মেদিনীপুর (২৭ )
শিলিগুড়ি (২৬.৪)
শ্রীনিকেতন (২৫.৬)
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের উত্তর অংশ এবং সন্নিহিত এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। অপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে।
একটি অক্ষরেখা দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে ঘূর্ণাবর্ত এলাকার মধ্যে দিয়ে উপকূল অন্ধ্রপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে অবস্থান করছে। যার জেরে এইসব জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।