ব্যুরো রিপোর্ট: করোনা আতঙ্কের জের কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছে না গোটা বিশ্ব। দেশ জুড়ে ফের শুরু হয়েছে লাগামছাড়া সংক্রমণ। এই নিয়ে টানা চারদিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার পার করল। শনিবার ভারতে নতুন করে কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়েছে ২,৫২৭ জন।
শুক্রবারের তুলনায় দেশে দৈনিক সংক্রমণ আরও খানিকটা বাড়ল।তবে শুধু দৈনিক সংক্রমণই নয়, দেশ জুড়ে বেড়েছে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও। গতকাল দেশের অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা যেখানে ছিল ১৪, ২৪১,
সেখানে শনিবার করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫,০৭৯টি, অর্থাৎ ৮৩৮টি বেড়েছে। এর পাশাপাশি দৈনিক পজিটিভ হার দাঁড়িয়েছে ০.৫৬ শতাংশ। তবে শনিবার দেশজুড়ে করোনায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬৫৬ জন।
এই নিয়ে দেশে সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪, ২৫১, ৭৭২৪ টি। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বারবার টিকাকরণের উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পর্যন্ত দেশে ১৮,৭৪,৬৭,২৫৩ কোটি ডোজেরও বেশি করোনা টিকাকরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।দেশের সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দিল্লির।
শুধুমাত্র সেই রাজ্য থেকে শুক্রবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬৫ জন। বিগত কয়েকদিন ধরেই দিল্লির করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কা বাড়াতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় সেখানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মাস্ক না পরলে ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে কড়া নির্দেশই জারি করা হয়েছে। ওমিক্রনের যে ন’টি রূপ রয়েছে তার মধ্যে একটি অর্থাৎ বিএ.২.১২ নামক ভ্যারিয়েন্টটি দিল্লিতে প্রভাব বিস্তার করেছে বলে জানা গেছে যা ওমিক্রনের একটি শাখা বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপরই রয়েছে হরিয়ানা, কেরল, উত্তরপ্রদেশের স্থান। প্রসঙ্গত, দেশের করোনা সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। বিভিন্ন রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে এই মারণ রোগ। এই পরিস্থিতিতে ফের মাস্ক ও সামাজিক দুরত্বের ওপর জোর দেওয়া শুরু হয়েছে।