ব্যুরো রিপোর্ট: টিকিট হাতে নিয়ে হাওড়া স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্লাটফর্ফে দেখা মিলল না সেমি বুলেট ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এই নিয়ে সাত সকালে তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ শুরু হয় হাওড়া স্টেশনে।যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছাড়বে না বলে জানিয়ে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিন বন্দে বারত এক্সপ্রেসে মালদহ যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসেরও। শেষে অন্য ট্রেনেই তিনি এবং অন্যান্য যাত্রীরা সফর করেন বলে জানা গিয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস না থাকায় তিনিও এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন হাওড়া স্টেশনে।সকাল ৬টার আগেই হাওড়া স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় এনজেপি গামী বন্দে ভারত এক্স প্রেস।
কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এই নিয়ে ট্রেন আসছে না দেখে যাত্রীরা অধৈর্য হয়ে পড়ছিলেন। সেমি বুলেট ট্রেনে সফর করার জন্য পেশ মোটা টাকা দিয়েই টিকিট কাটতে হয়েছিল। তারপরেও তাঁরা যখন দেখলেন যে বন্দে ভারতের বদলে অন্য ট্রেন প্ল্যাটফর্মে দিয়েছেন তখন তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল।প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীরা।
সেই যাত্রী তালিকায় ছিলেন রাজ্যপালও। তাঁরও বন্দেভারত এক্সপ্রেসে মালদহ যাওয়ার কথা ছিল। তিনিও আটকে পড়েন এই কারণে। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তাঁরা চালাতে পারছেন না তাঁরা। যাত্রীদের সঙ্গে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রেল কর্তৃপক্ষ। অনেক বিক্ষোভের পর প্রায় ১ ঘণ্টা দেরিতে অন্য ট্রেনে করেই সফর করতে বাধ্য হন যাত্রীরা।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে ট্রেন ছাড়ার আগে যে দৈনিক পরীক্ষা করা হয় তাতে দেখা গিয়েছে ইঞ্জিনের গিয়ার ফাংশনে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেকারণেই তাঁরা ঝুঁকি নিতে চাননি। রেলের আধিকারীকরা জানিয়েছেন, বন্দে বারতের সব সুযোগ সুবিধাই বিকল্প যে ট্রেন দেওয়া হয়েছে তাতে থাকবে। এবং এই ট্রেনের গতিও নাকি বন্দে ভারতের মতোই থাকবে।