উৎসাহী গেমার প্রেরণা ব্যানার্জি নিজের সার্থকতা খুঁজে পেলেন হিরো ভাইরেড’স গেমিং প্রোগ্রামে

উৎসাহী গেমার প্রেরণা ব্যানার্জি নিজের সার্থকতা খুঁজে পেলেন হিরো ভাইরেড’স গেমিং প্রোগ্রামে

রিপোর্ট -দেবাঞ্জন দাস: গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে জেনি বলে পরিচিত প্রেরণা ব্যানার্জি হলেন একজন অত্যন্ত উৎসাহী গেমার, যিনি এক অনন্য কেরিয়ারের পথে পা বাড়িয়েছেন। আদতে কলকাতার মেয়ে প্রেরণা এখন পুনের বাসিন্দা।

জেনির গেমিংয়ের প্রতি ভালবাসা জন্ম নিয়েছিল গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার অনেক আগেই। এই জগতের যত গভীরে ঢুকেছেন, তাঁর আগ্রহ এবং উদ্দীপনা তত বেড়েছে এবং তিনি গেমিংকেই কেরিয়ার করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

যদিও জেনি এই মুহূর্তে ডেটা সাইন্সে এমবিএ পড়ছেন, গেমিংয়ের প্রতি তাঁর ভালবাসায় কিন্তু কম পড়েনি। ওটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর নিজের জায়গা এবং ওই ইন্ডাস্ট্রিতে ছাপ ফেলতে তিনি বদ্ধপরিকর। জেনি প্রথম মহিলা হিসাবে Apex Legends(M) Predator/Master খেতাব জয় করেছেন, যা তাঁর দক্ষতা ও একনিষ্ঠতার যথাযথ প্রমাণ।

গেমিং সম্পর্কে নিজের জ্ঞান, মেধা এবং দক্ষতা বাড়াতে জেনি হিরো ভাইরেডে গেমিং ও ইস্পোর্টস নিয়ে একটা সার্টিফিকেট প্রোগ্রামে ভর্তি হন। এই প্রোগ্রাম তাঁর সবকিছু বদলে দিয়েছে। তিনি ব্যতিক্রমী মেন্টরশিপ পেয়েছেন এবং এমন শিক্ষকদের পেয়েছেন যাঁদের এই ক্ষেত্রে নানারকমের অভিজ্ঞতা রয়েছে।


জেনি হিরো ভাইরেডের অসামান্য শিক্ষকদের পেয়ে বিশেষ সন্তুষ্ট। এঁরা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আদানপ্রদান চালান। তাঁরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের সন্দেহগুলো দূর করে দিতে অতিরিক্ত প্রয়াসটুকু দরকার, সেটা করেন। ফলে এক সহায়তাপূর্ণ,

সামগ্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শেখার পরিবেশ গড়ে ওঠে। উপরন্তু ফ্যাকাল্টির সদস্যরা কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্পর্কে মূল্যবান ভাবনাচিন্তা ছাত্রছাত্রীদের জানান। ফলে জেনির মত ছাত্রছাত্রীরা গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে সফল কেরিয়ারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।

জেনি বললেন “হিরো ভাইরেডের সাহায্যে আমি গেমিংয়ে সুযোগের এক নতুন দুনিয়া আবিষ্কার করেছি। এই প্রোগ্রামে শুধু আমার জ্ঞানই বাড়েনি, গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে আমার একটা সফল কেরিয়ার হতে পারে এই আত্মবিশ্বাসও তৈরি হয়েছে। এই রূপান্তরের যাত্রায় হিরো ভাইরেড আমাকে যে ব্যতিক্রমী মেন্টরশিপ আর সহায়তাপূর্ণ পরিবেশ দিয়েছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”

কম্পিউটার সাইন্সে তাঁর জোরালো শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিপূরক হিসাবে কাজ করবে হিরো ভাইরেডে করা এই গেমিং কোর্স। ফলে জেনি গেমিংয়ের দুনিয়ায় সফল হতে তৈরি। তিনি নাম করতে এবং মহিলা গেমার হিসাবে সমস্ত বাধা দূর করতে বদ্ধপরিকর, যাতে অন্যরাও তাঁকে দেখে তাদের ভালবাসার পথটাই বেছে নেয় এবং গেমিংয়ের দুনিয়ায় আসে।

জেনির কাহিনি নিজের ভালবাসার পিছনে ছুটলে যে রূপান্তর ঘটানো যায় তার এবং নিজের দক্ষতার যত্ন ও বৃদ্ধি করার জন্য সঠিক শিক্ষা প্রোগ্রাম খুঁজে বার করার শক্তির নিদর্শন। একনিষ্ঠতার সঙ্গে সঠিক সুযোগ যুক্ত হলে কীভাবে মন ভরানো এবং সফল কেরিয়ারের পথে হাঁটা যায় জেনি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *