ব্যুরো রিপোর্ট: গতকাল দুপুর থেকেই আকাশে মেঘের দাপট বাড়ছিল। তারপরে বিকেল থেকে শহরের একাধিক জায়গায় শুরু হয় বৃষ্টি। তবে বর্ষণের থেকে বেশি বজ্রপাত হয়েছে একাধিক জেলা। দুই জেলায় বজ্রপাতে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮ জন।শুধু মাত্র বাঁকুড়া জেলাতেই বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাঁকুড়া জেলার ছাতনায় একাধিক জায়গায় বাজপড়ে তিন জন মারা গিয়েছেন।
জখম হয়েছেন ৪ জন। বাঁকুড়ার ছাতনা থানার পাতাবড় গ্রামে মীরা বাউরি নামে এক মহিলা মাঠে গরু চড়িয়ে ফিরছিলেন। সেসময় বাজ পড়ে তিনি মারা যান। ছাতনার মাছনপুর গ্রামে নদীর ঘাটে মাছ ধরছিলেন সাগে মুর্মু নামে এক যুবক। সেখানে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। আহত হয়েছেন ৩ জন। তাঁদের ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আবার বাঁকুড়া জেলার শালতোড়েশুকুরমনি সোরেন নামে এক তরুনী মাঝে ধান রোপন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে বাজ পড়লে ৪ জন আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে শুকুরমণিকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে পুরুলিয়ায় দুটি জায়গায় বাজ পড়ে ২ জন মারা গিয়েছেন।
অঞ্জন দাস এবং সোমনাথ বৈষ্ণব। দুই যুবকই পুরুলিয়ার পাড়া থানার শাকরা এলাকার বাসিন্দা। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে তেঁতুলগাছের নীচে দাঁঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে বাজ পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়।পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে বাজপড়ে লক্ষ্মীনারায়ণ বাউড়ি নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পুরুলিয়ারই আদ্রাথানার পাঁচুডাঙার বাসিন্দা নুসরত খাতুন বাড়িতে মোবাইল দেখার সময় বাজ পড়ে আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে কলকাতা সহ দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষণ শুরু হয়েছে। রবিবার থেকে জেলায় জেলায় চলছে বর্ষণ। কলকাতা শহরেও চলছে বর্ষণ। ভ্যাপসা গরম থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া গিয়েছে।