মরসুমের প্রথম কালবৈশাখীতে রাজ্যে রেল চলাচলে প্রভাব, কলকাতার আকাশে ‘এয়ার টার্বুল্যান্স’

মরসুমের প্রথম কালবৈশাখীতে রাজ্যে রেল চলাচলে প্রভাব, কলকাতার আকাশে ‘এয়ার টার্বুল্যান্স’

ব্যুরো রিপোর্ট:  মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী , তীব্র ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি । রাজ্যে বিশেষ করে প্রভাব পড়ে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। কালবৈশাখীর জেরে গাছ পড়ে বিভিন্ন জায়গায় রেল চলাচলে প্রভাব পড়ে। কলকাতা বিমানবন্দরেও বিমান চলাচলে প্রভাব পড়ে। মরসুমের প্রথম কালবৈশখীতে রাজ্যে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

শনিবার বিকেল থেকে সন্ধের দিকে কালবৈশাখীর জেরে শিয়ালদহ উত্তর-দক্ষিণ এবং হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় হাওড়া-বর্ধমান লাইনে। কাটোয়া আজিমগঞ্জ, কাটোয়া হাওড়া এবং কাটোয়া বর্ধমান শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে, লোকাল থেকে মেল-এক্সপ্রেস সবই। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ঢাকুরিয়া ও যাদবপুরের মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। অন্যদিকে আরামবাগের কাছে ট্রেনের পেন্টোগ্রাফ ভেঙে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।মরসুমের প্রথম কালবৈশাখীর প্রভাব গিয়ে পড়ে বিমান চলাচলেও।

বেশ কয়েকটি বিমানের নামা ওঠায় বিপত্তি তৈরি হয়। সন্ধের আগরতলা থেকে কলকাতাগামী বিমান এয়ার টার্বুল্যান্সের মধ্যে পড়ে। কলকাতার আকাশ থেকে কিছুটা দূরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে প্রায় ৫৫ মিনিট বিমান অবতরণে দেরি হয়।

বিমানের মধ্যে থাকা যাত্রীরা তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেন। পাইলটের অভিজ্ঞতার জেরেই তাঁরা রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিমানযাত্রীরা। অন্যদিকে কলকাতায় নামার তিনটি বিমানকে ঘুরিয়ে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গোরক্ষপুর থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমান।

ওই বিমানটিতে রাঁচি বিমানকবন্দরে অবতরণ করানো হয়। অন্যদিকে রাঁচি থেকে কলকাতায় আসা বিমানকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে। দিল্লি থেকে কলকাতায় আসা বিমানকে নিয়ে যাওয়া হয় গুয়াহাটিতে।ট্রেন চলাচল ব্যাহত হাওয়ায় বাড়ি ফেরার পথে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। কোনও জায়গায় ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে ৪-৫ ঘন্টার মতো।

অন্যদিকে রাস্তায় গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বাধা তৈরি হয়। সেই ক্ষেত্রেও বাড়ি ফিরতে মুশকিলে পড়েন যাত্রীরা।শনিবার সন্ধেয় মূলত দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখীর দাপট দেখা গিয়েছে। ঝড় হয়েছে মোটামুটি ঘন্টায় ৬০ কিমি বেগে।

যদিও তাতে বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে। রাস্তার পাশে থাকা বাঁশের কাঠামোও ভেঙে পড়তে দেখা যায়। আপাতত যে খবর পাওয়া গিয়েছে তাতে পুরুলিয়ায় একজনের প্রাণ গিয়েছে এই কালবৈশাখীতে। খড়গপুরে ঝড়ের সময় লোহার তোর ভেঙে মৃত্যু হয়েছে এক বাইক আরোহীর।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *