ভারত ২০১৪-র আগে আটকে ছিল কেলেঙ্কারিতে! দেশ এখন নতুন উচ্চতায়, দাবি প্রধানমন্ত্রীর মোদীর

ভারত ২০১৪-র আগে আটকে ছিল কেলেঙ্কারিতে! দেশ এখন নতুন উচ্চতায়, দাবি প্রধানমন্ত্রীর মোদীর

ব্যুরো রিপোর্ট:  বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার আট বছর পূর্ণ করেছে। পিএম কেয়ার্স নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়েছেন কোভিডে অনাথ শিশুদের পাশে। সেই উপলক্ষে হওয়া ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেছেন, ২০১৪ সালের আগে, দেশ কেলেঙ্কারি ও স্বজনপোষণে আটকে ছিল।

আর এখন দেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন স্কিমের অধীনে সুবিধার কথা ঘোষণা করেন। তারপর তিনি বলেন. সরকার আচ বছর পূর্ণ করেছে। যখন তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সেই সময় ছিল নজিরবিহীন অবস্থা।

দুর্নীতি, হাজার কোটির কেলেঙ্গারি, স্বজনপোষণ এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে। ছিল আঞ্চলিক বৈষম্যও। ২০১৪-র আগেকার দুষ্টচক্র থেকে দেশ বেরিয়ে আসছে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, আটবছরে দেশ যে উচ্চতা অর্জন করেছে, তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।

আজ বিশ্বে ভারতের গর্ব বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে ভারতের শক্তি বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আনন্দিত যে যুবশক্তি নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে এসেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে ভারত সক্ষমতা দেখিয়েছে। বিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং যুবকদের প্রতি বিশ্বাস দেখিয়েছে।

বিশ্বের সামনে ভারত আশার আলো হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারত ওষুধ ও ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। এত বড় দেশে প্রতিটি নাগরিকের কাছে সরকার ভ্যাকসিন নিয়ে গিয়েছিল। সমস্যা বাড়ানো নয়, তার সমাধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পিএম কেয়ার ফর চিলড্রেন-এর একটি পাসবুত এবং আয়ুষ্মাণ ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার অধীনে স্বাস্থ্যকার্ড শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত ২০২১-এর ২৯ মে পিএম কেয়ার ফল চিলড্রেন চালু করা হয়েছিল।

২০২০-র ১১ মার্চ থেকে ২০২২-এর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোভিডে যেসব শিশু তাঁদের বাবা-মা, আইনি অভিভাবক কিংবা দত্তক পিতামাতাকে হারিয়েছে, তাদের জন্যই পিএম কেয়ার ফর চিলড্রেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অনুসারে, এর লক্ষ্য হল এইসব শিশুদের শিক্ষা-বৃত্তির মাধ্যমে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে তোলা।

এইসব শিশুদের স্বাস্থ্য বিমা ছাড়াও ২৩ বছর বয়সে পৌঁছলে তারা প্রত্যেকে ১০ লক্ষ টাকা করে পাবে। এইসব শিশুদের নথিভুক্তির জন্য সরকারি তরফে অনলাইন পোর্টালও চালু করা হয়েছে। সেখানে সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদনের অনুমোদন দেওয়া এবং সহায়তা করা হবে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *