ব্যুরো রিপোর্ট: সকালে মেঘে ঢাকা কলকাতার আকাশ। কোথাও কোথাও দু-এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে। একই অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলারও। তবে এই বৃষ্টিকে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি বলা গেলেও তা কোনওভাবেই বর্ষার বৃষ্টি নয়।
তবে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ নিয়ে আশাবাদী আবহাওয়া দফতর।রবিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৯ জুন অর্থাৎ সোমবার সকালের মধ্যে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
এছাড়া দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।সোমবার ও মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় অতিপ্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ৪৮ ঘন্টা পর থেকে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।রবিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ১৯ জুন সোমবার সকালের মধ্যে পুরুলিয়া,
ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার কোনও কোনও জায়গায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াকে বাদ দিয়ে উল্লিখিত জেলাগুলিত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা।এছাড়া আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের উল্লিখিত জেলাগুলিকে বাদ দিয়ে বাকি জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
২০ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।আবহাওয়া দফতর রবিবার সকালে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায়ও কলকাতার কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৬ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শনিবারের তুলনায় বেড়েছে। ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। শনিবার যা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বনিম্ন ৫৯ শতাংশ।