ব্যুরো রিপোর্ট: সকাল থেকে কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ পরিষ্কার। তবে এদিন সকালেই জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এছাড়া তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল শনিবার সকালের মধ্যে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন ৫ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাকি তিন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে আগামী কয়েকদিন দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের বৃষ্টি জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল শনিবার সকালের মধ্যে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেও আগামী কয়েকদিন দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৪ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকার সম্ভাবনা। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বুধবারের থেকে থেকে এই তাপমাত্রা কিছুটা বেশি। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল ২৭.১ (২৭)বালুরঘাট ২৪.১ (২৪.৪)বাঁকুড়া ২৬.৯ (২৬.৪)ব্যারাকপুর ২৬.৮ (২৬.৬)বহরমপুর ২৬ (২৭)বর্ধমান ২৫ (২৫.৮)ক্যানিং ২৭ (২৬.৪)কোচবিহার ২৫.১ (২২.৪)দার্জিলিং ১৩.২ (১৩.৬)দিঘা ২৭ (২৬.৭)কলকাতা ২৭.৭ (২৭.১)মালদহ ২৬.৬ (২৬.৩)পানাগড় ২৬.৩ (২৭)পুরুলিয়া ২৬.১ (২৫.৫)শিলিগুড়ি (২৪.১)শ্রীনিকেতন ২৫.৭ (২৬.৬)
দিন কয়েক আগেই উত্তর-পশ্চিম ভারত এমন কী জম্মু ডিভিশন, হিমাচল প্রদেশে তাপপ্রবাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম ঝ্ঞ্ঝার প্রভাবে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হবে হিমাচল প্রদেশ উত্তরাখণ্ডে।
যার জেরে তাপমাত্রা খানিকটা কমবে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লির কোনও কোনও জায়গায় যে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস ছিল, তা এখন অনেকটাই কম।