সোম-মঙ্গলের ভারত বনধ ও ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ফলে আঘাত নেমে আসবে পরিষেবায়

সোম-মঙ্গলের ভারত বনধ ও ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ফলে আঘাত নেমে আসবে পরিষেবায়

ব্যুরো রিপোর্ট: কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি সোম ও মঙ্গল দুটি ভারত বনধ ডেকেছে। তাদের একটি যৌথ ফোরাম আবার ব্যাঙ্ক ধর্মঘটও ডেকেছে। এর ফলে শ্রমিকদের তথা কর্মী ইউনিয়নের ডাকা বনধে প্রভাবিত হবে গোটা দেশের স্বাভাবিক পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিঘ্নিত হবে।

টানা চারদিন ব্যাঙ্ক-সহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবাবিমুখ থাকবে দেশ।কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির প্রতিবাদে সোমবার এবং মঙ্গলবার দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কিং সেক্টরও ধর্মঘটে যোগ দেবে।

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তা জানিয়ে দিয়েছে ফলাও করে। এর ফলে সমস্যার সম্মুখীন হবেন দেশবাসী।২০২২ সালের ২২ মার্চ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ প্ল্যাটফর্মের একটি সভার পরে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল।

বিভিন্ন রাজ্যে ধর্মঘটের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল তারপর। বিভিন্ন রাজ্যে ধর্মঘটন নিয়ে পর্যালোচনাও করা হয়। তার পরে ইউনিয়নগুলি বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোম ও মঙ্গল দুদিন ব্যাপী সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ধর্মঘট ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী, জনগণ বিরোধী এবং দেশ বিরোধী নীতির প্রতিবাদেই এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি সরকারি উদ্যোগে ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল ২০২১-এর বিরোধিতাও করেও ট্রেড ইউনিয়নগুলি। তার প্রতিবাদেই ব্যাঙ্কিং সেক্টরগুলি ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে৷ ফলত পরিষেবা বিঘ্নিত হবে।

মানুষ বিপাকে পড়বে। কিন্তু প্রতিবাদও চলবে। তা মানুষের স্বার্থে বলেই জানিয়েছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি।স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গ্রাহকদের জানিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে এই মর্মে। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, ২৮ এবং ২৯ মার্চ ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলি এই ধর্মঘটের ফলে সাংঘাতিকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।

এবং এর ফলে পরিষেবাও বিঘ্নিত হবে। ব্যাঙ্কগুলিতে কর্মীদের পেনশন রয়েছে। যাঁরা অবসর নিতে চলেছেন, তাঁরা ধর্মঘটে অংশ নিলে প্রভাবিত হবেন না। শুধু ব্যাঙ্ককর্মীরাই নন, কয়লা, ইস্পাত, তেল, টেলিকম, ডাক, আয়কর, তামা এবং বিমার মতো অন্যান্য খাতের শ্রমিকরা ধর্মঘটে অংশ নিতে চলেছে।

এর ফলে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রেলওয়ে এবং প্রতিরক্ষা সেক্টরের ইউনিয়নগুলিও এই ধর্মঘটে সামিল হতে চলেছে। সারা দেশে কয়েকশো জায়গায় ধর্মঘটের সমর্থনে গণসংহতি তৈরি করবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের শ্রমিক ও কর্মীরা। এর ফলে দেশজুড়ে স্তব্ধ হয়ে যাবে বিভিন্ন পরিষেবা।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *