মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত! সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জারি ১৪৪ ধারা

মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত! সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জারি ১৪৪ ধারা

ব্যুরো রিপোর্ট:  এখনও পর্যন্ত সারা ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২১। এর মধ্যে ১৭ জন মহারাষ্ট্রের । যা যে কোনও রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার ও রবিবার মুম্বইয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

আপাতত বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে।মুম্বই কমিশনারেটের অধীন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ। এছাড়াও গাড়ি চলাচলের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (অপারেশন) জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে এই পরিস্থিতি বলবত থাকবে ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ শনিবার ও রবিবারের জন্য।

সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর পাশাপাশি অমরাবতি, মালেগাঁও, নান্দেদ-এ হিংসার পরিস্থিতির পরে যে উত্তেজনা রয়েছে, তার জন্যও এই নির্দেশিকা।

মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শুক্রবার বলা হয়েছে, সেখানে নতুন করে ৭ জনের শরীরের ওমিক্রন ভাইরাস পাওয়ার গিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে তিন বছরের একটি শিশুও রয়েছে। মুম্বইয়ে তিন আক্রান্তের বয়স হল যথাক্রমে ৪৮, ২৫ এবং ৩৭।

এঁরা যথাক্রমে তানজানিয়া, ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা-নাইরোবি থেকে ফিরেছেন।বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন জানিয়েছে ৪৮ বছরের ব্যক্তি থিনি তানজানিয়ে থেকে ফিরেছেন, তিনি ধারাবির বাসিন্দা। তবে তাঁর কোনও উপসর্গ নেই।

তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।৪ ডিসেম্বর ওই ব্যক্তির করোনা ধরা পড়ে। তিনি করোনার কোনও টিকাই নেননি। তবে তাঁর সংস্পর্শে আসা দুই ব্যক্তির রিপোর্ট নেগেটিভ বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে ২৫ বছরের যুবক যিনি সম্প্রতি লন্ডন থেকে ফিরেছেন, ১ ডিসেম্বর তাঁর পরীক্ষার পজেটিভ এসেছে। তাঁর দুটি টিকাই নেওয়া রয়েছে। তাঁরও কোনও উপসর্গ নেই।

৩৭ বছরের অপর যুবক গুজরাতের বাসিন্দা। ৪ ডিসেম্বর দেশে আসার পরেই পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে। বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তাঁর সামান্য উপসর্গ রয়েছে। তাঁরও দুটি ভ্যাকসিন নেওয়া রয়েছে বলেই জানিয়েছে বিএমসি কর্তৃপক্ষ।পুনের পিম্পরি চিনচাঁদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এলাকার চারজনের নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন।

এঁরা চারজনই নাইজেরিয়া থেকে আগত তিন মহিলার সংস্পর্শে এসেছিলেন। যাঁরা আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই সাতজনের মধ্যে চারজনের দুটি করে ভ্যাকসিন নেওয়া রয়েছে। বাকি তিনজনের মধ্যে একজনের একটি ভ্যাকসিন নেওয়া রয়েছে। একজন কোনও ডোজ নেননি। আর একজন হল সাড়ে তিন বছরের শিশু।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *