ব্যুরো রিপোর্ট: আতঙ্কের অপর নাম হয়ে উঠেছে কোভিডের নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন। বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে কোভিডের এই নয়া স্ট্রেনটি। বহু দেশের সরকার ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে লকডাউনও ঘোষণা করেছে।
কিন্তু ঠিক কতটা সংক্রামক এই স্ট্রেনটি? গবেষণা বলছে, মানব ফুসফুসের ব্রঙ্কাসে ডেল্টা এবং অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বহুগুণ তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে এটি বাকিদের তুলনায় বেশি ভয়ানক।
কিন্তু বাস্তবে ওমিক্রন খুব সহজে ফুসফুসের নীচের অংশকে আক্রান্ত করতে পারে না।হংকংয়ের একটি ঔষধ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন৷ তাঁরা দেখেন, উইন্ডপাইপের শেষে ফুসফুসের দিকে ইংরেজি ‘ওয়াই’ বর্ণের মতো বেঁকে গিয়েছে ব্রঙ্কাইগুলি।
তবে রিসার্চ পেপারে এটা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি যে ঠিক কোন কারণে ওমিক্রন ফুসফুসের নীচের অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারছে না৷ তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফুসফুসের নীচের অংশে সহজে সংক্রমণ না হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যান্য রোগে ভুগছেন না।
গবেষণার জন্য ফুসফুসের কলা ব্যবহার করেছেন গবেষকরা৷ সাধারণত শ্বসনতন্ত্রে ভাইরাল রোগের চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটিকে সংগ্রহ করার পর ডেল্টা এবং সার্স কোভিদ 2 এর সংক্রমণের সঙ্গে তুলনাও করেন তাঁরা।
সেখানেই গবেষকরা খেয়াল করেন, ডেল্টা এবং অরিজিনাল ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ৭০ গুন তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন৷ আর এই কাজে বেশি সময়ও নিচ্ছে না নতুন স্ট্রেনটি। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় প্রভাব বিস্তার করছে রোগীদেহে৷