বর্ধমান মেডিক্যালে কোভিড ওয়ার্ডে আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু এক রোগীর

বর্ধমান মেডিক্যালে কোভিড ওয়ার্ডে আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু এক রোগীর

ব্যুরো রিপোর্ট:  বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আমরির ছায়া। ভোররাতে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভয়ঙ্কর আগুন লাগে। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। রীতিমত প্রাণে বাঁচতে কার্যত রোগীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি বেঁধে যায়।

জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় কোভিড ওয়ার্ডে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখনও পর্যন্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ কোভিড ওয়ার্ডের ৬ নম্বর ব্লকে এই আগুন লাগে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য হাসপাতাল চত্বরে।

ইতিমধ্যে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি অন্যান্য করোনা রোগীদের দ্রুত অন্য জায়গাতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ওয়ার্ডে করোনা রোগীর ভিড় না থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলেই মত ওয়াকিবহালমহলের।হয়েছে ধোঁয়াশা।

তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান মশার ধুপ কিংবা লাইটারের মতো কোনও জিনিস থেকে এই আগুন লাগতে পারে। যদিও ইতিমধ্যে হাসপাতাল কর্তপক্ষ বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ কি তা জানতে ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাঁচ সদস্যদের একটি টিমও গঠন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই টিম গোটা বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে। অন্যদিকে দমকল এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে এই ঘটনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই ঘটনায় এক সংবাদমাধ্যমকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ”এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আগুন লাগার কারণ জানতে খুব শীঘ্রই একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

” তবে ঘটনার পর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডের ৬ নম্বর ব্লক সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জানা যায়, অগ্নিদন্ধ হয়ে যে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাঁর নাম সন্ধ্যা মণ্ডল (৬০)।

তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির বড়মুড়িয়া গ্রামে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা যায়, ওয়ার্ডে আগুন লাগার বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর। আতঙ্কে রীতিমত চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন ওই রোগী।

ঘুম থেকে তোলেন অন্যান্যদের। ততক্ষণে দাউ দাউ করে জ্বলে গিয়েছে সম্পূর্ণ আগুন।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের আত্মীয়দের একাংশের অভিযোগ, ঘটনার সময়ে হাসপাতালে কর্মীরা সবাই ঘুমাচ্ছিলেন।

ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পউছ্য দমকলের একটা ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন অবস্থায় সবাই মিলে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রায় আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যাচ্ছে।

তবে সাত সকালে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। শুধু তাই নয়, আতঙ্কে রোগীদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *