ব্যুরো রিপোর্ট: সকাল থেকেই পুড়ছে বাংলা! গত কয়েকদিন ধরে সকালের দিকে মেঘলা আকাশ ছিল। এমনকি হাওয়াও দিচ্ছিল। কিন্তু আজ রবিবার এক ধাক্কায় অনেকটাই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। অস্বস্তিকর গরম। যদিও এর মধ্যেও কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
কয়েকটি জেলায় ফের একবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ দুটি জায়গাতেই এই বৃষ্টি হবে। তবে এতে খুব একটা যে স্বস্তি মিলবে তা কখনই বলছেন না আবহাওয়াবিদরা।
আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতির বদল হবে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। আর সেই মতো কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদুত সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
যেমন দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ সোমবার সকালের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ,
নদিয়ায় ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।শুধু দক্ষিণবঙ্গে নয়, বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও। গত গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের জন্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু তেমন কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে আগামী ২৪ ঘন্টায় পরিস্থিতি বদল হবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আর তা সোমবার সকালের মধ্যেই স্পষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া অফিস। এখন দেখার স্বস্তি দিয়ে বাংলায় বৃষ্টি পড়ে কিনা।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে।
তবে সেভাবে কলকাতার জন্যে নির্দিষ্ট করে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি এখনই কাটবে না। সাময়িক স্বস্তি পেলেও তাপমাত্রার কোনও হেরফের ঘটবে না।
তাপমাত্রার এমন অবস্থা বজায় থাকবে বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এপ্রিলের শুরুতেই প্রবল গরমে পুড়ছে বাংলা। এখনও অনেকগুলি মাস কাটাতে হবে। এমন অবস্থা বজায় থাকলে পরিস্থিতি কোথায় যেতে পারে তা ভেবেই ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এই সময়ে কালবৈশাখীর একটা প্রভাব দেখা যায় বাংলায়। কিন্তু এই বছর এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও প্রভাব নেই। আর এর কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তনকেই দায়ি করছেন আবহাওয়াবিদরা।