ব্যুরো রিপোর্ট: মাদক কাণ্ডে বড় স্বস্তি আরিয়ান খানের। জামিনেয় সময় প্রতি সপ্তাহে এনসিবির দফতরে হাজিরার যে শর্ত দেওয়া হয়েছিল তার থেকে অব্যহতি দেওয়া হল তাঁকে। বম্বে হাইকোর্ট আজ এই নির্দেশ দিয়েছে।
গত সপ্তাহেই এই শর্ত থেকে তাঁকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন আরিয়ান খান। তার কারণ হিসেবে তিনি আবেদনে জানিয়েছিলেন অখন তাঁর মামলার তদন্ত করছে এনসিবির দিল্লির অফিসের বিশেষ তদন্তকারী দল।
কাজেউ মুম্বইয়ের এনসিবির দফতরে তাঁর প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার হাজিরা দেওয়ার তেমন কোনও প্রাসঙ্গিকতা থাকে না বলে আবেদনে লিখেছিলেনতিনি। আরিয়ান খানের এই আবেদনকে মান্যতা দিয়েই আদালত তাঁতে প্রতি সপ্তাহে এনসিবির দফতরে হাজিরা দেওয়ার শক্ত মকুব করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দীপাবলির আগে ২ অক্টোবর রাতে মুম্বই গোয়া ক্রজ শিপ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরিয়ান খানকে। ক্রুজে রেভ পার্টিতে প্রচুর পরিমান মাদক সহ গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ পুত্রকে। তারপর থেকে টানা ১ মাস জেলে ছিলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান।
এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল এনসিবির দফতরেও। তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে শাহরুখের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরে সমীর ওয়াংখেড়ের উপরে নজরদারিও শুরু করেন এনসিবি আধিকারীকরা।
দীর্ঘ ১ মাস পরে দীপাবলির ঠিক আগেই জামিনে মুক্ত হন আরিয়ান খান। ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। বন্ডের সেই টাকা দিয়েছিলেন শাঙরুখের বন্ধু জুহি চাওলা। অন্যদিকে আরিয়ান খানকে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয় জামিনে মুক্তি দেওয়ার সময়।
তার মধ্যে অন্যকম ছিল প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ মুম্বইয়ের এনসিবির দফতরে তিনি হাজিরা দেবেন। এবং তাঁর পাসপোর্ট আদালতে জমা করবেন। মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
আদালতের নির্দেশ মেনেই প্রতি সপ্তাহে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু মামলার তদন্ত ভার দিল্লির এনসিবি অফিসে চলে যায়। সেখানে গঠিন সিট এই ঘটনার তদন্ত করছে কাজেই মুম্বইয়ে এনসিবির অফিসে হাজিরা দেওয়ার কোনও অর্থই হয়না বলে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন আরিয়ান খানের আইনজীবী।
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই তাঁকে এই হাজিরার শর্ত থেকে অব্যহতি দেয় আদালত। তবে এক্ষেত্রে আরও একটি নির্দেশি দিয়েছে আদালত। তাতে বলা হয়েছে দিল্লিেত তদন্তকমিটি যদি মনে করে তাঁকে সেখানে হাজিরা দিতে হবে তাহলে আরিয়ান খানকে সেখানে যেতে হবে সঙ্গে সঙ্গে।
তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই এনসিবি তাঁকে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস দেবে।সেই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে তিনি যদি মুম্বই ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চান তাহলে তাঁকে আগে থেকে সেই সফরের সূচি সম্পর্কে আদালতকে জানাতে হবে। তবে এনসিবির তলবে দিল্লি যেতে হলে আদালতকে জানানোর প্রয়োজন নেই।