আইএমএস বিজনেস স্কুলে এখন সানস্টোনের সুযোগসুবিধাগুলো পাওয়া যাবে

আইএমএস বিজনেস স্কুলে এখন সানস্টোনের সুযোগসুবিধাগুলো পাওয়া যাবে

রিপোর্ট -দেবাঞ্জন দাস : ভারতের অগ্রগণ্য উচ্চশিক্ষা স্টার্ট-আপ সানস্টোন, যার উপস্থিতি ৩৫টা শহর এবং ৫০টার বেশি প্রতিষ্ঠানে, এবার তাদের সুযোগসুবিধাগুলো আইএমএস বিজনেস স্কুল, কলকাতাতেও জোগাবে। আইএমএসের এমবিএ, বিবিএ এবং বিসিএ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীরা এখন সানস্টোনের অনন্য সুযোগসুবিধাগুলোর নাগাল পাবে।

আইএমএস বিজনেস স্কুল, কলকাতা হল এক এআইসিটিই অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা সততা ও উদারতার মৌলিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর লক্ষ্য ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারে উৎকর্ষ অর্জন করতে প্রয়োজনীয় পথনির্দেশ জোগানো।

সানস্টোন আর আইএমএস, কলকাতার মধ্যে স্বাক্ষরিত মউ (MOU) ছাত্রছাত্রীদের ১২০০ নিয়োগকারীর এক বিস্তৃত নেটওয়ার্কের নাগাল দেবে। উপরন্তু এই সম্পর্ক ছাত্রছাত্রীদের ফরচুন ৫০০ কোম্পানি ও স্টার্ট-আপগুলোর অভিজ্ঞ এক্সিকিউটিভদের থেকে শেখার মূল্যবান সুযোগ দেবে।

ইন্টার্নশিপ এবং সত্যিকারের প্রোজেক্টের মধ্যে দিয়ে হাতে কলমে পাওয়া জ্ঞান এই সুবিধা আরও বাড়িয়ে তুলবে, ফলে শিক্ষার্থীদের শুরু থেকেই কর্মসংস্থানের উপযুক্ত হয়ে থাকা নিশ্চিত হবে। এছাড়াও তারা এমন একটা পেশাদার পোর্টফোলিও তৈরি করার সুযোগ পাবে যা তাঁদের বৈচিত্র্যময় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরে,

নিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটায়। কোনো সন্দেহ নেই যে সেটা শিক্ষার্থীদের পেশাদার জীবনের লক্ষ্যপূরণে এবং বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের প্রবণতাগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে দারুণ সাহায্য করবে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং পরিকাঠামোগত ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান করা। উচ্চমানের শিক্ষার ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন মেটাতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা অনবরত রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে যে ছাত্রছাত্রীরা এখানে আসছে এটা তার অন্যতম প্রধান কারণ। সরকার গত কয়েক বছরে রাজ্যের যুবসমাজকে শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং জ্ঞান জুগিয়ে শিল্পক্ষেত্রের জন্য তৈরি পেশাদার হিসাবে গড়ে তুলতে নানা উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ নিয়েছে।

এই ঘোষণা সম্পর্কে পীযূষ নাংরু, কো-ফাউন্ডার অ্যান্ড সিওও অফ সানস্টোন মন্তব্য করেন “আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছাত্রছাত্রীদের বিস্তারিতভাবে এবং হাতে কলমে শেখার সুযোগ দেওয়া, প্রাসঙ্গিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ দেওয়া, তাদের সেইসব অবশ্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো জোগানো যা ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ যুগের জন্য দরকার।

ভারতের টিয়ার-২ আর টিয়ার-৩ শহরগুলোতে শিল্পক্ষেত্র আর বিদ্যায়তনের মধ্যে যে ব্যবধানটা আছে তা ঘোচাতে এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনার বিকাশে সাহায্য করতে গভীরভাবে দায়বদ্ধ। আমরা আইএমএস বিজনেস স্কুলের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে তাদের শিক্ষার্থীদের চোখের পড়ার মত সাফল্য অর্জন করায় সাহায্য করার সম্ভাবনায় উৎসাহিত।”

সানস্টোন ছাত্রছাত্রীদের এমন একটা পাঠক্রম দেয় যা শিল্পক্ষেত্রের প্রয়োজনগুলো মেটানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি। এই পাঠক্রম তাদের উচ্চস্তরের সার্টিফিকেট পাওয়ার, শিল্পের সঙ্গে সমন্বয়পূর্ণ ইন্টার্নশিপ ও প্রোজেক্ট করার এবং পেশাদার পোর্টফোলিও তৈরি করার সুযোগ দেয়।

এছাড়া ছাত্রছাত্রীরা জীবন সম্পর্কে এবং অন্যান্য দক্ষতার প্রশিক্ষণ পায়। তারা আগ্রহভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন, খেলাধুলো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থী বিনিময় প্রকল্প এবং সানস্টোনের শিক্ষার্থী নেটওয়ার্কের বহুমুখী ডিজিটাল গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার সুযোগ পায়। ফলে তারা অনেক বেশি সর্বব্যাপী ও সম্পূর্ণ শিক্ষা পায়।

ঘোষণা সম্পর্কে তাপস সাহা, চেয়ারম্যান অফ আইএমএস এডুকেশন ট্রাস্ট, বলেন, “আমরা সানস্টোনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কথা ঘোষণা করতে পেরে রোমাঞ্চিত। এটা আমাদের শিক্ষার্থীদের এক সত্যিকারের ব্যতিক্রমী এবং শিল্পের জন্য বিশেষভাবে নিবেদিত শিক্ষা জোগাবে।

এই যৌথ উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার্থীদের মগ্ন হয়ে থাকার মত শেখার অভিজ্ঞতা দেবে এবং বহুমুখী ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ ল্যান্ডস্কেপের জন্য অত্যাবশ্যক দক্ষতাগুলো শিখিয়ে দেবে। এই জোটের মাধ্যমে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা যেসব অসংখ্য সুযোগ পাবে,

যা তাদের বিশ্বের চাকরির বাজারে সফল হওয়ার জন্য তৈরি করে দেবে, সেগুলোর কথা ভেবে আমরা উত্তেজিত। আমরা সাগ্রহে সানস্টোনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব বলে মুখিয়ে আছি যাতে উভয় পক্ষের স্বপ্নকে সত্যি করে তোলা যায়।”

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *