ব্যুরো রিপোর্ট: রেপোরেট অপরিবর্তিত রেখে ২০২২ সালের জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর জানিয়েছেন ভারতের অর্থনীতি ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করেছে।
তাই আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে দেশের ডিজিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯.৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে চাহিদা এবং আমদানি বাড়তে শুরু করেছে দেশে। সচল হয়েছে আর্থিক পরিস্থিতি।দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে তৎপর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
বুধবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মানিটারি পলিসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে রেপোরেট অপরিবর্তিত রাখা হবে। রিজার্ভ রেপোরেটও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানিয়েছেন দেশের অর্থনীতি ক্রমশ সচল হতে শুরু করেছে।
রেপোরেট অপরিবর্তিত রেখে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার সুযোগ করে দিতে চাইছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।দেশে ইতিমধ্যেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট হানা দিয়েছে। দেশের একাধিক ব্যক্তি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমিত হয়েছেন।
নতুন করে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারে সেকারণে নতুন করে করোনা বিধি কড়া করেছে একাধিক রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে ফের বাণিজ্যে ধাক্কা আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তাই আগে থেকেই দেশের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাখল মোদী সরকার।দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ভাল হতে শুরু করেছে। শেয়ার বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। বৈদেশিক বাণিজ্যও সচল হয়েছে।
উৎসবের মরশুমে এবার গোটা দেশেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল যার জেরে বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি যেখানে তলানিতে এসে ঠেকেছিল সেটা ভাল অবস্থায় যেতে শুরু করেছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ৮.৪ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। তা যথেষ্ট আশাজনক। যদিও দেশের মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই বেড়েছে।
২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।বাণিজ্যের উন্নতি লক্ষ্য করে ২০২২ সালে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে রেপোরেট এবং রিভার্স রেপোরেট অপরিবর্তিত রাখার কথা ঘোষণা করে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের অর্থনীতি যাতে চাঙ্গা হতে পারে সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। করোনা আবহে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি তলানিতে এসে ঠেকেছিল। তারপরেই আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প ঘোষণা করেন মোদী সরকার।