ব্যুরো রিপোর্ট: পাণিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। রবিবার রাতভর তল্লাশিচালিয়ে পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।
পাণিহাটির তেঁতুলতলা মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে নীল গেঞ্জি পরা ওই চুবক স্কুটিতে চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কাউন্সিলরের মাথায় চমকাই বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালায়।ধৃতের নাম অমিত পণ্ডিত।
অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটায়। গুলি চালানোর পর হেঁটে পালিয়েছিল ওই যুবক। সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। প্রায় রাতভর তল্লাশি তালিয়ে এক প্রকার মধ্য রাতে ২টো নাগাদ পুলিশ ওই শ্যুটারকে গ্রফতার করে।
আজই তাকে আদালতে পেশ করা হবে।রবিবার ছুটির দিনে ভর সন্ধেই প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হন পাণিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। পাণিহাটিকে একটি চায়ের দোকানের সামনে স্কুটি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
সেখান কয়েক জনের সঙ্গে স্কুটিতে বসে কথা বলছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। ঠিক তখনই নীল রঙের ডোরাকাটা টিশার্ট পরে এক যুবক পিছন থেকে এসে তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকায় এবং কারোর কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
একেবারে মাথায় গুলি লাগায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুঠিয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বেলঘরিয়ায় জেনিথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
ঘটনার পর বিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ বিটিরোড অবরোধ করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর আততায়ীকে চিহ্নিত করে পুলিশ। খবর পাওয়া যায় এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছে সে।
তারপরেই শুরু হয় তল্লাশি। আগরপাড়ার তেঁতুলতলা মোড়ের কাছে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই গোটা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনায় অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এখনও পর্যন্ত পাণিহাটিকে পুরবোর্ড গঠন করা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস সবকটি আসনে জিতলেও পুরবোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। তার আগে কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।