ব্যুরো রিপোর্ট: দেশের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী । তিনি দেশের নারী শক্তির কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন ভারত হল গণতন্ত্রের ধাত্রীভূমি।
তিনি বলেন, লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য তিনিই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।প্রধানমন্ত্রী এদিন লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে বলেছেন ৭৫ বছরে দেশ যেসব বিষয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছে,
তার জন্য দেশবাসীর আত্মতুষ্টির কারণ নেই। তিনি বলেছেন, আগামী ২৫ বছর সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন,বিশ্ব দেখছে ভারত পরিবর্তিত হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশের উন্নয়নের জন্য পাঁচ প্রতিশ্রুতির কথা ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই পাঁচ প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে, বড় আকাঙ্খা থাকবে।
তিনি বলেন, বড় আকাঙ্খা না থাকতে কোনও কাজে সফল হওয়া যায় না.দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন কোনও রকমের দাসত্ব নয়। তিনি বলেছেন মানসিকতায় কোনও প্রকারের দায়ত্ব থাকা উচিত নয়। তৃতীয় হল ঐতিহ্যের প্রতি গর্ব। প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্যকে শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা বোঝাতে চেয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যদি আমরা শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারি, তাহলে আমরা উঁচুতে উঠতে পারব। চতুর্থ প্রতিশ্রুতি হল ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেছেন, ১৩০ কোটি ভারতবাসীর মধ্যে একতা থাকতে হবে। আর পঞ্চম তথা শেষ কর্তব্য হল নাগরিকদের কর্তব্য। এই কর্তব্যের মধ্যে নাগরিকদের বিদ্যুৎ ও জল সংরক্ষণের কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়েছেন।
বলেছেন এটা করতে পারলে অনেক আগেই দেশ সংকল্পে পৌঁছে যাবে। এই কর্তব্য পালনে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীরা্ও যুক্ত থাকবেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে যুবকদের কাছে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে যাঁরা ২০৪৭ সালে ৫০ বছর হবে, তাঁদের কাছে।
তিনি বলেছেন, আমরা যখন শপথ নিই, আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাই।প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেই কারণে তিনি তাঁর প্রথম বক্তৃতায় স্বাচ্ছ ভারতের কথা বলেছিলেন।প্রধানমন্ত্রী এদিন মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর স্বপ্ন ছিল দেশের শেষ মানুষটির কাছে পৌঁছে যাওয়া। তাঁর স্বপ্ন ছিল সেই মানুষটিকেও উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা।