ব্যুরো রিপোর্ট: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে ফের শক্তি বৃদ্ধি তৃণমূলের। এবার সিমলাপালের পার্শ্বলা গ্রাম পঞ্চায়েতের আঁধারিয়া গ্রামে প্রায় ৪০ টি পরিবার সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে। বুধবার রাতে ওই পরিবারগুলির সদস্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহবাবু।
সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে আসা রামদাস মুর্মু নিজেকে ওই দলের লোকাল কমিটির প্রাক্তন সদস্য দাবি করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষাশ্রী, কন্যশ্রী, রুপশ্রী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্য সাথীর মতো বেশ কিছু জনমুখী প্রকল্পের সূচণা করেছেন। আর জনমুখী এই প্রকল্পকে সমর্থন জানিয়েই তিনি দলবদল করলেন বলে জানান।সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহবাবুর দাবি, মানুষ ভুল বুঝতে পেরেছেন।
এবার তাই প্রায় ৪০ টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। বিগত নির্বাচন গুলিতে এই এলাকায় তৃণমূল ভাল ফল করতে পারেনি। এবার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার্শ্বলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটি আসনেই তাঁরাই জয়ী হবেন বলে তিনি দাবি করেন।দলবদলের এই ধরণের কোনও খবর তাঁর কাছে নেই, দাবি সিপিআইএম সিমলাপাল এরিয়া কমিটির সদস্য কৌশিক পাইনের। তিনি বলেন, বিগত ৪৫ বছর ধরে পার্শ্বলা গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিআইএমের দখলেই আছে।
এই এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দে জর্জরিত তৃণমূল।আর তাই সেসব ঢাকা দিতে সিমলাপাল ব্লক তৃণমূলের নতুন সভাপতি এসব ‘নাটক’ করছেন। যখন রাজ্য জুড়ে দুর্ণীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে বামপন্থীদের সমর্থণ করছেন, তখন এই ধরণের ঘটনা কখনোই ঘটতে পারে না। ফের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সিপিআইএমই ওই পঞ্চায়েত পুনর্দখল করবে বলে তিনি দাবি করেন।