দুর্গাপুজো উদযাপনের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে টাটা টি গোল্ড নিয়ে এল স্থানীয়ভাবে ডিজাইন করা উৎসব সংস্করণ সিরিজ

দুর্গাপুজো উদযাপনের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে টাটা টি গোল্ড নিয়ে এল স্থানীয়ভাবে ডিজাইন করা উৎসব সংস্করণ সিরিজ

রিপোর্ট -দেবাঞ্জন দাস: দুর্গাপুজো হল বছরের সেই সময় যখন পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি অংশ উৎসবে, আনন্দে মাতোয়ারা হয়। এই সময়ে পুরো বাঙালি সমাজ একত্র হয় এবং দারুণ আনন্দ উৎসাহে উৎসব উদযাপন করে। এই উৎসবের মেজাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রিয় চায়ের ব্র্যান্ড টাটা টি গোল্ড লঞ্চ করল ১৫টি উৎসব সংস্করণ প্যাকেটের এক বিশেষ সিরিজ, যার অনুপ্রেরণা হল বাংলার কারিগরদের হাতে তৈরি এই রাজ্যের সমৃদ্ধ ‘শিল্পকলা’।


এই উদ্যোগের মাধ্যমে টাটা টি গোল্ড শুধু দুর্গাপুজোই উদযাপন করছে না, গোটা পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন প্রাণবন্ত শিল্পধারার প্রচারও করছে। উৎসব প্যাকের ডিজাইনের মাধ্যমে টাটা টি গোল্ড কারিগরদের সূক্ষ্ম নৈপুণ্যকে জীবন্ত করে তুলছে। টাটা টি গোল্ডের ক্যাম্পেনের উদ্দেশ্য সাংস্কৃতিকে ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা জানানো এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্তরে যেসব শিল্পধারা রয়েছে সেগুলির উদযাপন।

এই সীমিত সংখ্যার প্যাকেটগুলো পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি আলাদা আলাদা ভৌগোলিক অঞ্চলের পাঁচটি শিল্পধারার অনুপ্রেরণায় তৈরি হয়েছে। মুর্শিদাবাদ অঞ্চলের বহরমপুরের শোলার কাজ, পূর্ব বর্ধমানের ডোকরা কারিগরদের গ্রামের ডোকরা শিল্প, বাঁকুড়ার পাঁচমুড়ার টেরাকোটা শিল্প, কালীঘাটের শিল্পের শিকড় রয়েছে নয়া, পিংলা ও পশ্চিম মেদিনীপুরে, আর কৃষ্ণনগরের জনপ্রিয় মাটির পুতুলগুলি তৈরি হয়েছে পুতুলপট্টি, ঘূর্ণি ও কৃষ্ণনগরে।

এই শহরগুলি লোকশিল্পের এই ধারাগুলির জন্মস্থান এবং এখন পশ্চিমবঙ্গের অক্ষয় ঐতিহ্যের অংশ।

অনন্য ডিজাইনের এই উৎসব প্যাকগুলির সম্ভার তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৫ জন স্বনামধন্য কারিগরের যৌথ প্রচেষ্টায়। তাঁরা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো উদযাপনের ৫টি বিশেষ দিনের আনন্দ ও সারবস্তুকে তুলে ধরেছেন।

নতুন দুর্গাপুজো ক্যাম্পেন সম্পর্কে পুনীত দাস, প্রেসিডেন্ট – প্যাকেজড বেভারেজেস (ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়া), টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস, বললেন “পশ্চিমবঙ্গ বরাবরই শৈল্পিক চিন্তাভাবনায় পরিপুষ্ট এবং এই রাজ্যের এক সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে, যা তার সাবেকি শিল্পধারাগুলোতে খুব স্পষ্ট।

আর দুর্গাপুজো হল বাঙালিদের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব। এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রিয় চায়ের ব্র্যান্ডগুলোর অন্যতম হওয়ার সুবাদে আমরা স্থানীয় মানুষ এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে মর্যাদা দিতে পেরে গর্বিত। আর আমাদের সাম্প্রতিকতম ক্যাম্পেন বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে বাংলার বিশেষ শিল্পধারাগুলোকে উদযাপন করার জন্য, যা পুজোর মেজাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা পাঁচজন বিখ্যাত শিল্পী – সমীর কুমার সাহা, নারায়ণ কুম্ভকার, তড়িৎ পাল, রবিলাল কর্মকার এবং খান্ডু চিত্রকরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি এবার দুর্গাপুজোয় সম্মিলিতভাবে টাটা টি গোল্ডের জন্য আর্ট ডিজাইন কিউরেট করতে।

সীমিত সংখ্যক উৎসব প্যাকগুলো স্থানীয় আর্ট ডিজাইনগুলোকে সুদৃশ্য গোল্ড প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে সজীব করে তোলে এবং এই প্রাণবন্ত উৎসব যে উচ্ছ্বাস তৈরি করে তাকেও উদযাপন করে। আমাদের ক্রেতারা ভালবাসবেন এবং উৎসব আরও তরতাজা হয়ে উঠবে এমন এক সুন্দর ভিজুয়াল ন্যারেটিভ তৈরি করতে বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে।”

অর্ণব চ্যাটার্জি, কো-ফাউন্ডার, ট্রি ডিজাইন, যোগ করলেন “দুর্গাপুজোর অবিচ্ছেদ্য অংশগুলোর একটা হল প্রতিমা, যা তৈরি করেন স্থানীয় কারিগররা। এই শিল্প এবং কারিগরি হল কয়েক প্রজন্মের ঐতিহ্য। ২০২২ টাটা টি গোল্ড দুর্গাপুজো প্যাকগুলো ডিজাইন করার জন্য আমরা ঠিক করেছিলাম ঐতিহ্যকেই কাজে লাগাব। এই প্রক্রিয়াটায় প্রায় গোটা একটা বছর লেগে গেছে।

কারণ আমরা গাড়িতে, নৌকো পেরিয়ে আর পায়ে হেঁটে গ্রাম থেকে গ্রামে সেইসব শিল্পী আর কারিগরদের খুঁজে বেরিয়েছি যাঁরা তাঁদের কারিগরির মধ্যে দিয়ে দুর্গাপুজোর আবেগ আর গৌরবকে তুলে ধরতে পারবেন। শেষ অব্দি ৫টি শিল্পধারা – মাটির পুতুল, শোলা, টেরাকোটা, কালীঘাট আর ডোকরা – বেছে নিয়ে আমরা ওই গ্রামগুলোতে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়েছি।

এই কারিগরদের সঙ্গে মিলে কাজ করে তাঁদের নিজস্ব সূক্ষ্ম নৈপুণ্যের মধ্যে দিয়ে এই রাজ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা শিল্পের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করার সুযোগ দিয়েছি। যাতে আমরা সেই সংস্কৃতিকে টাটা টি গোল্ড ফেস্টিভ সিরিজ প্যাকের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারি।”

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *