ব্যুরো রিপোর্ট: আপাতত রাজ্যের ওপরে কোনও সিস্টেম নেই। যা রয়েছে রাজ্যের থেকে দূরে। ভূবনেশ্বরে ওপরে রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। অন্যদিকে একটি নিম্নচাপ রয়েছে ওড়িশ ও সংলগ্ন ছত্তিশগড়ের ওপরে। যেকারণে রাজ্যের কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তাও কোথাও কোথাও। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৯ জুলাই শনিবার সকালের মধ্যে আপাতত কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
সবকটি জেলাতেই কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।আপাতত দিনের তাপমাত্রার সেরকম বড় কিছু পরিবর্তন হবে না বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস খানিকটা উত্তরবঙ্গের মতোই। কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৯ জুলাই শনিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গেও আপাতত দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস নেই।এদিন সকালে কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯২ শতাংশ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন থেকে চার দিন ছোট ছোট স্পেলে ১৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিটের বৃষ্টি হবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। আর বৃষ্টির সময় তাপমাত্রা কমে গেলেও বৃষ্টি থাকলেও ফের তা বাড়বে। দিনের যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩-৩৪ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে যাবে।
আর এর সঙঅগে আর্দ্রতা যুক্ত হয়ে অস্বস্তিও বাড়িয়ে দেবে।পশ্চিমবঙ্গে এই পরিস্থিতি তৈরি হলেও, দেশের পশ্চিম উপকূলে বিশেষ করে মহারাষ্ট্র-গোয়ার কোথাও কোথাও অতি-প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৭)
বহরমপুর ( ২৫)
বাঁকুড়া ( ২৬.২)
বর্ধমান (২৪)
কোচবিহার (২৮.১)
দার্জিলিং (১৮.২)
দিঘা (২৭)
কলকাতা (২৭.৪)
দমদম (২৭.৩)
কৃষ্ণনগর (২৭.৪)
মালদহ (২৭.৯)
মেদিনীপুর (২৭.১)
শিলিগুড়ি (২৬.৩)
শ্রীনিকেতন (২৫.৮)